Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 7:33 pm

১০ মাসে পোশাক রপ্তানি ৯.০৯% বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারো (ইপিবি) সম্প্রতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ের দেশভিত্তিক রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেছে। এই সময়ে মোট পোশাক রপ্তানি পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং মোট রপ্তানি ৩৮ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

ইপিবির তথ্যমতে, এই পোশাক রপ্তানির মধ্যে ১৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ), যা মোট রপ্তানির ৪৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি করা হয়েছে, যা মোট রপ্তানির ১৮ দশমিক ০১ শতাংশ। কানাডার শেয়ার ছিল ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং মোট ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক কানাডায় রপ্তানি হয়েছে এবং ৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছে অপ্রচলিত বাজারে, যা ছিল ১৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ের মধ্যে ইইউতে রপ্তানি ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইইউ অঞ্চলের প্রধান বাজারগুলোর মধ্যে জার্মানিতে রপ্তানি পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৫ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ফ্রান্স ও স্পেনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ছিল যথাক্রমে ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার ও ২ দশমিক ৯৫ বিলিযন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে ২২ দশমিক ২১ শতাংশ এবং ১৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ।  ইতালিতেও ৪২ দশমিক ৪০ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির প্রবণতা ছিল এবং ১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। অন্যদিকে বুলগেরিয়া ও পোল্যান্ডে রপ্তানি বছরওয়ারিভাবে যথাক্রমে ৪৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং ১৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অধিকন্তু যুক্তরাজ্য ও কানাডা উভয় বাজারে রপ্তানিতে যথাক্রমে ১০ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং ১৬ দশমিক ০৯ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মাসে, অপ্রচলিত বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৩০ দশমিক ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো প্রধান বাজারগুলোয় আমাদের রপ্তানি ছিল যথাক্রমে ১ দশমিক ৩২ বিলিয়ন, ৯৬১ দশমিক ৩০ মিলিয়ন, ৮৮৯ দশমিক ০৬ মিলিয়ন এবং ৪৭৭ দশমিক ৮১ মিলিয়ন  ডলার।