ইসমাইল আলী: গত মাসে উদ্বোধন করা হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ পদ্মা বহুমুখী সেতু। তবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে সড়কপথে যুক্ত করা এ সেতুটির নির্মাণ প্রক্রিয়া খুব একটা সহজ ছিল না। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সেতু নির্মাণে সময় লেগেছে প্রায় সাড়ে ছয় বছর। তবে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি নেয়া হয়েছিল অনেক আগে। ২০০৭ সালের আগস্টে এ প্রকল্পটি অনুমোদন করে তৎকালীন তত্ত্বাবধাক সরকার।
যদিও প্রথমে শুধু সড়ক সেতু নির্মাণের কথা ছিল পদ্মা নদীর ওপর। এজন্য সে সময় ব্যয় ধরা হয় ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। তবে ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয় লাভ করে ক্ষমতা গ্রহণের পর সেতুটিতে রেলপথ যুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য সেতুটির নকশাতেও পরিবর্তন আনা হয়। ফলে ২০১১ সালে এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।
প্রকল্পটির সব প্যাকেজের ঠিকাদার নিয়োগশেষে পদ্মা সেতুর নির্মাণব্যয় আরও বেড়ে যায়। এতে ২০১৬ সালে প্রকল্পটি দ্বিতীয় দফা সংশোধন করে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। পরে ড্রেজিং স্পয়েল ফেলার জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়েও আরও এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ে। এতে সর্বশেষ ২০১৮ সালে প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
এতে সব মিলিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণব্যয় এ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ হাজার ৩১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বা ১৯৭ দশমিক ১৩ শতাংশ। তবে বাস্তবায়ন বিলম্বসহ কয়েকটি কারণে সেতুটি নির্মাণব্যয় আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
একই অবস্থা এমআরটি-৬ (ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট-৬) তথা মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের। প্রাথমিকভাবে এর আওতায় উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল নির্মাণের কথা ছিল। তবে গত সপ্তাহে প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়। এতে মতিঝিলের পরিবর্তে মেট্রোরেল যাবে কমলাপুর পর্যন্ত। পাশাপাশি আয় বৃদ্ধির জন্য মেট্রোরেলের স্টেশন এলাকায় যুক্ত হবে স্টেশন প্লাজা। স্টেশনে ওঠানামার জন্য ফুটপাতের পাশে জমি/বাড়ি অধিগ্রহণ করতে হবে। এসব কারণে প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে গেছে।
২০১২ সালের জুলাইয়ে প্রথম এমআরটি-৬ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। সে সময় এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি সাত লাখ টাকা। তবে সংশোধিত হিসাবে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ মেট্রোরেল নির্মাণব্যয় বেড়ে গেছে ১১ হাজার ৪৮৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা বা ৫২ দশমিক ২৫ শতাংশ।
শুধু এ দুটোই নয়, দেশের প্রায় সব মেগাপ্রকল্পের ব্যয় এভাবেই ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর কারণ প্রাথমিক পরিকল্পনায় ত্রুটি। পরবর্তী সময়ে সে ত্রুটি সংশোধন করতে গিয়ে ব্যয় বেড়ে যায়। এতে এদিকে বাড়ে রাষ্ট্রের ব্যয়ের বোঝা। অপরদিকে প্রকল্পগুলো থেকে প্রাপ্ত সুবিধার হার কমে আসে। তাই সবসময়ই প্রকল্পের বারবার ব্যয় বৃদ্ধির বিরোধিতা করেন বিশেষজ্ঞরা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে চলমান ১০টি মেগাপ্রকল্পের ব্যয় বিশ্লেষণ করেছে শেয়ার বিজ। এতে দেখা যায়, পরিকল্পনার ত্রুটি সংশোধনে এ ১০ প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে ৯১ হাজার ৪৫০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা তথা ৬৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। তবে কিছু প্রকল্পের কাজ এখনও অনেক বাকি। ফলে এগুলোর ব্যয় আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
এমনই একটি প্রকল্প কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ। ২০১৫ সালের নভেম্বরে ওই ব্যয়েই প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। সে সময় এর ব্যয় ছিল আট হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। যদিও ঋণচুক্তি সম্পাদনে দেরি হওয়ায় টানেলের নির্মাণকাজ শুরু হয় আরও দুই বছর পর। আর জমি অধিগ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি, ভ্যাট ও কর পরিশোধের হার বৃদ্ধি, সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি, পরিষেবা সংযোগ লাইন স্থানান্তর ইত্যাদি খাতে ব্যয় বৃদ্ধির অজুহাতে ২০২০ সালে টানেলটির নির্মাণব্যয় বেড়ে যায়। সে সময় এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৯ হাজার ৮৮০ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
এরপরও টানেল নির্মাণব্যয় স্থির থাকেনি। ২০২১ সালে জরুরি ভিত্তিতে ৪৯৪ কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব বিশেষ অনুমোদন দেয়া হয়। এতে প্রকল্পটির ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। তবে নির্মাণব্যয় বৃদ্ধির পরিমাণ প্রকল্প ব্যয়ের পাঁচ শতাংশের মধ্যে থাকায় তা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) পাঠানো হয়নি। পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (অবকাঠামো) এ প্রস্তাব অনুমোদন করেন। পরে প্রকল্পটি সংশোধনের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত এ ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এদিকে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মহাসড়ক। এটি নির্মাণে একটি প্রকল্পটি নেয়া হয় ২০১৬ সালের মে মাসে। সে সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ছয় হাজার ২৫২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। পরে তা বেড়ে হয় ছয় হাজার ৮৯২ কোটি পাঁচ লাখ টাকা। তবে প্রকল্পের অনেক কাজ বাকি থেকে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পটির বাকি কাজ শেষ করার জন্য ২০১৮ সালে নেয়া হয় ২য় প্রকল্প, যা অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরণ প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত।
দ্বিতীয় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয় চার হাজার ১১১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এরই মধ্যে প্রকল্পটিতে আরও কিছু বিষয় নতুন যুক্ত হয়। এতে প্রকল্পটির ব্যয় দাঁড়ায় চার হাজার ১৫১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এতে দুই প্রকল্প মিলিয়ে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ১১ হাজার ৪৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ দুই প্রকল্প মিলিয়ে ব্যয় বেড়েছে চার হাজার ৪৭১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বা ৭৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
অপরদিকে জয়দেবপুর থেকে রংপুর পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেন নির্মাণে দুটি পৃথক প্রকল্প নেয়া হয়। এর মধ্যে প্রথম প্রকল্পটি হলো জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইল হয়ে এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার চার লেন নির্মাণ। ২০১৩ সালের এপ্রিলে প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। সে সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল দুই হাজার ৭৮৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। চার দফা বৃদ্ধির পর ২০২০ সালের জুনে এ ব্যয় দাঁড়ায় ছয় হাজার ২১৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। তবে পঞ্চম দফা প্রকল্পটি সংশোধন করা হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। এ সময় মহাসড়কটির নির্মাণব্যয় কিছুটা কমে দাঁড়ায় ছয় হাজার ১৬৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে তিন হাজার ৩৮০ কোটি টাকা বা ১২১ দশমিক ২১ শতাংশ।
একই অবস্থা এলেঙ্গা-হাটিকামরুল-রংপুর মহাসড়ক ১৯০ কিলোমিটার চার লেন নির্মাণ প্রকল্পটির। এটি অনুমোদন করা হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। সে সময় এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ১১ হাজার ৮৯৯ কোটি এক লাখ টাকা। তবে ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়। এতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৬৬২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ নির্মাণ ব্যয় বেড়ে গেছে চার হাজার ৪৭৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বা ৪০ শতাংশ। উভয় প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে পরিকল্পনার ত্রুটি সংশোধনে।
রেলওয়ের চলমান মেগাপ্রকল্পগুলোরও একই অবস্থা। এর মধ্যে যমুনা নদীর ওপর নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু রেল সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি সাত লাখ টাকা। চার দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের বৃহত্তম এ রেল সেতু নির্মাণে ছিল পরিকল্পনাগত ত্রুটি। পরে তা সংশোধন করে চূড়ান্ত নকশা প্রণয়ন করা হয়।
এতে পিলারের সংখ্যা ৪১টি থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০টি। একইভাবে খসড়া নকশায় পাইলের গভীরতা (ডেপ্থ) ধরা হয়েছিল ২৭ দশমিক ৭৯ মিটার। চূড়ান্ত নকশায় তা বেড়ে হয়েছে ৩৭ মিটার। আর খসড়া নকশায় স্প্যান লেন্থ (দৈর্ঘ্য) ধরা হয়েছিল ১২০ মিটার। পরে তা কমিয়ে ১০০ মিটার করা হয়। সব মিলিয়ে রেলসেতুটির নির্মাণব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ নির্মাণব্যয় বেড়েছে সাত হাজার ৪৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বা ৭২ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
একই অবস্থা পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের। ২০১৬ সালের মে মাসে প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। তবে নকশা চূড়ান্ত করার সময় বেশকিছু বিষয় পরিবর্তন করতে হয়। এতে ২০১৮ সালে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের নির্মাণব্যয় এক দফা বাড়ানো হয়েছে। সে সময় ঢাকা-মাওয়া-যশোর রেলপথ নির্মাণব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
যদিও প্রকল্পটির ব্যয় আরেক দফা ব্যয় বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলছে। এক্ষেত্রে এক হাজার ১৭৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি খাতে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত এ ব্যয় করা হচ্ছে। এতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৪২৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ ব্যয় বেড়েছে পাঁচ হাজার ৪৩৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা। তবে চূড়ান্তভাবে নির্মাণব্যয় আরও বাড়বে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
রেলের মেগাপ্রকল্পগুলোর সবচেয়ে ব্যয় বেশি বেড়েছে দোহাজারি-কক্সবাজার-ঘুনধুম রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পে। কোনো ধরনের সমীক্ষা ছাড়াই প্রকল্পটি নেয়া হয় ২০১০ সালে। ১২৮ কিলোমিটার এ রেলপথ নির্মাণে সে সময় ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৮৫২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। তবে জমি অধিগ্রহণ বৃদ্ধি, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জমি পাওয়া, ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ ও হাতি চলাচলের নিরাপত্তা, রুট ও নকশায় পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে ২০১৬ সালে বিস্তারিত নকশা প্রণয়নশেষে প্রকল্পটি বড় ধরনের সংশোধন করা হয়।
এতে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ নির্মাণব্যয় বেড়ে যায় ১৬ হাজার ১৮২ কোটি ১৩ লাখ টাকা বা ৮৭৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। তবে মিয়ানমারের অনুমতি না পাওয়ায় সীমান্তবর্তী এলাকা ঘুনধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হবে না। ফলে ২৮ কিলোমিটার কমবে এ রেলপথের দৈর্ঘ্য। আর প্রকল্পটির ব্যয়ও কমানো হবে।
অপরদিকে ২০১৪ সালের আগস্টে অনুমোদন করা হয় মাতারবাড়ী এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প। তবে এর আওতায় কয়লা খালাসে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ পরিকল্পনায় ছিল ত্রুটি। আবার বিদ্যুৎ বিতরণ উপকেন্দ্রের সক্ষমতাও ছিল কম। এগুলো সংশোধন করতে হয়েছে। পাশাপাশি জমি অধিগ্রহণের পরিমাণও বেড়েছে। সব মিলিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণব্যয় বেড়ে গেছে।
প্রাথমিকভাবে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। তবে পরিকল্পনা সংশোধনের ফলে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৫২ হাজার ৩৮৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে ১৬ হাজার ৪০৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা বা ৪৫ দশমিক ৫৯ লাখ টাকা।