১০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রস্তাব মুনাফায় ফিরেছে ডিএসই

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: মুনাফায় ফিরেছে দেশের প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মুনাফা কিছুটা কমে গিয়েছিল ডিএসইর। পরবর্তীতে আবারও মুনাফা বাড়াতে সক্ষম হয় প্রতিষ্ঠানটি। সর্বশেষ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১২৩ কোটি টাকা। ডিএসই সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে ডিএসইর মুনাফা করেছিল ১১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। পরের অর্থবছরে মুনাফা বেড়ে দাঁডায় ১৩৪ কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মুনাফা আরও বেড়ে হয় ১৩৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর পরের বছর মুনাফা কিছুটা কমে যায়। এ বছর প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা গিয়ে দাঁড়ায় ১১৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সর্বশেষ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মুনাফা দাঁড়ায় ১২৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অর্থাৎ এ সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।

ডিএসইর মুনাফা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্টরা বলেন, ডিএসইর ইনকামের একটি প্রধান উৎস হচ্ছে- ব্রোকারেজ হাউজ থেকে পাওয়া কমিশনের অর্থ। পুঁজিবাজার ভালো থাকলে এখানে বিনিয়োগকারীদের আনাগোনা বাড়ে। তখন শেয়ার কেনাবেচাও বাড়ে, মুনাফাও ভালো হয়।

পক্ষান্তরে যখন বাজার ভালো থাকে না, তখন বিনিয়োগকারীরাও বাজার বিমুখ হয়ে পড়েন। ফলে কেনাবেচাও কমে যায়। ফলে ব্রোকারেজ হাউজের পাশাপাশি ডিএসইর ইনকাম কমে যায়।

এ প্রসঙ্গে ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ‘বিগত কয়েক বছর ধরেই মুনাফায় ছিল ডিএসই। মাঝখানে মুনাফায় কিছু ভাটা পড়লেও এখন আবার মুনাফায় ফিরতে সক্ষম হয়েছে।’ আগামীতে ডিএসইর মুনাফা আরও বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এদিকে ২০১৭ সালে শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রস্তাব করেছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। আগামী ২২ মার্চ সাধারণ বার্ষিক সভায় শেয়ার হোল্ডারদের সম্মতিতে এ লভ্যাংশ পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের বোর্ডসভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, জুলাই ২০১৬-জুন ২০১৭ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ পরিমাণ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়।

এদিকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০ দশমিক ৬৯ টাকা। আর ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক শূন্য তিন টাকা।

এদিকে মুনাফার পাশাপাশি ডিএসইর নগদ অর্থপ্রবাহের পরিমাণ ও বেড়েছে। বর্তমানে ডিএসইর নগদ অর্থ প্রবাহের পরিমাণ ৬১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। গত বছর যার পরিমাণ ছিল ৪৮ লাখ ৫০ হাজার ঢাকা। আর ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৩৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। অন্যদিকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এ অর্থের পরিমাণ ছিল ২৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০