Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 3:52 pm

১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল চেয়েছে বিএমবিএ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার ‘বিশেষ তহবিল’ চেয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। এ বিশেষ তহবিলটি ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) মাধ্যমে বন্ড ইস্যু করে দেয়া যেতে পারে বলে প্রস্তাব দিয়েছে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর এই সংগঠন।

গতকাল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে এ প্রস্তাবটি দেয়া হয়েছে। বিএমবিএ সভাপতি ছায়েদুর রহমান শেয়ার বিজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএমবিএ’র প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএসইসির অনেক উদ্যোগের পরও সম্প্র্রতি বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের ওপর বিক্রির চাপ পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাজারে স্বাভাবিকতা ফেরাতে পর্যাপ্ত নগদ অর্থের সহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের বাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আধিক্য একটি বড় সমস্যা। এছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কম ও ডিলারসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগও খুবই দুর্বল। কারণ বাজার মধ্যস্থতাকারীদের অর্থ সংগ্রহের মাধ্যম সীমিত। অন্যদিকে বাহ্যিক কিছু পরিবর্তনের কারণেও বাজারের অবস্থার অবনতি হচ্ছে। ফলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে তাদের বিক্রির চাপ বাড়াচ্ছেন। এতে পতন হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকলে মার্জিন ঋণ দানকারীদের শেয়ার বিক্রি করে তাদের মার্জিন অনুপাত সামঞ্জস্য করতে হবে। যাতে শেয়ারবাজারে আরও পতন হতে পারে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বিশেষ ঋণ সুবিধার ব্যবস্থা করে বাজারের মধ্যস্থতাকারীদের শক্তিশালী করা যেতে পারে। যাতে বাজার মধ্যস্থতাকারীরা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রির চাপ মোকাবিলায় সহযোগিতা করবে। এজন্য বাজার মধ্যস্থতাকারীদের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের প্রস্তাব জানাচ্ছি, যা মার্কেট ক্যাপিটালের দুই শতাংশেরও কম।  এ তহবিল ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড থেকে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে সংগ্রহ করে স্বল্প সুদে বাজার মধ্যস্থতাকারীদের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিতে পারে। আর এই ফান্ড যদি বাজার মধ্যস্থতাকারীরা সঠিকভাবে বিনিয়োগ করেন, তাহলে বর্তমান সমস্যা সমাধান হবে এবং বাজারের তারল্য সংকটের সমস্যা কেটে যাবে। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বাড়বে ও বাজারে স্বাভাবিক গতি থাকবে।