Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 9:42 pm

১১৫ আসনে বিজয়ী পিটিআই

শেয়ার বিজ ডেস্ক: গত বুধবার (২৫ জুলাই) অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের চূড়ান্ত বেসরকারি ফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। ১১তম সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার প্রায় ৫৬ ঘণ্টা পর শনিবার এ ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘোষিত ফলাফলে ১১৫ আসনে বিজয়ী হয়ে দেশটির বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। এর আগে শুক্রবার রাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন পিটিআই’র ১১৭ আসনে বিজয়ী হওয়ার খবর দেয়। তবে শনিবার ঘোষিত চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হলেও পাঁচটি আসনের ভোট পুনরায় গণনা চলছে। ওই ফল প্রকাশ হলে সর্বশেষ ফলাফলে কিছু পরিবর্তন আসবে।
শনিবার ঘোষিত চূড়ান্ত বেসরকারি ফলে ২৭২ আসনের মধ্যে ২৭০ আসনে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে গত মে মাসে সরকারের মেয়াদ শেষ করা পিএমএল-এন পেয়েছে ৬৪টি আসন। আর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৪৩টি আসন। নির্বাচনে ১২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তারাই ইমরান খানের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
ধর্মীয় দলগুলোর জোট মুত্তাহিদা মজলিস-এ-আমাল (এমএমএ) পেয়েছে ১২টি আসন, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) পেয়েছে ছয়টি আসন। এছাড়া পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদ (পিএমএল-কায়েদ) ও নবগঠিত বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি) চারটি করে আসনে জয় পেয়েছে। সিন্ধুভিত্তিক দল গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (জিএপি) পেয়েছে মাত্র দুই আসন।
আখতার মঙ্গলের নেতৃত্বাধীন বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি) পেয়েছে তিন আসন। আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি (এএনপি) পেয়েছে মাত্র একটি আসন। আওয়ামী মুসলিম লিগ (এএমএল), পাকিস্তান-ই-ইনসানিয়াত ও জামহুরি ওয়াতান পার্টি (জেডব্লিউপি) প্রত্যেকে একটি করে আসনে জয় পেয়েছে।
সূত্রমতে, পাঁচটি আসনের ভোট পুনরায় গণনা করা হচ্ছে। ফলে শনিবার ঘোষিত চূড়ান্ত ফলাফলে কিছু পরিবর্তন আসবে। পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে ৫১ দশমিক ৮৫ শতাংশ ভোটার।
দুটি আসনে স্থগিত থাকা নির্বাচন একাধিক আসনে বিজয়ী প্রার্থীদের ছেড়ে দেওয়া আসনে উপনির্বাচনের সময়েই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে ভোট গণনার প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। ফল প্রকাশে দেরির কারণ সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ফল প্রকাশে বিলম্ব হয়েছে। কমিশন বলছে, রেজাল্টস ট্রান্সমিশন সিস্টেম (আরটিএস) অকার্যকর হয়ে পড়ায় ফ্যাক্সের মাধ্যমে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ফলাফল সংগ্রহ করতে হয়েছে কমিশনকে। আর সে ফলাফলকে ম্যানুয়ালি একত্র করার প্রয়োজন পড়েছে।
প্রায় সব রাজনৈতিক দল ফল প্রকাশে বিলম্বের সমালোচনা করে পুনরায় গণনার দাবি তুলেছে। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলন থেকে পুনরায় ভোটগ্রহণেরও দাবি তুলেছে কয়েকটি বিরোধী দল। ওই সংবাদ সম্মেলনে পিএমএল-এন, এমএমএ, পিকেএমএপি, এএনপি ছাড়াও আরও কয়েকটি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের তরফ থেকেও ব্যালট গণনা প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটানোর জন্য কমিশনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।