প্রতিনিধি, নোয়াখালী : ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মানবসম্পদ, ব্যবস্থাপনা ও অর্থ) উম্মে সালমা তানজিয়া বলেছেন, এক হাজার ১৮৪ জন জনবল নিয়ে ১৮ কোটি মানুষের সেবা দিচ্ছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। এর মধ্যে বাংলাদেশে ৭২টি অফিস এবং প্রবাসে ৮০টি দূতাবাস অফিস রয়েছে। স্বল্প জনবল নিয়েও আমরা সর্বোচ্চ সেবা দিচ্ছি। সবার সহযোগিতায় সুনাম বৃদ্ধি করতে চাচ্ছি। গতকাল সকালে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তানজিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম পাসপোর্ট বিভাগ নিয়ে ভেবেছিলেন। তার অংশ হিসেবে ১৯৭৩ সালে পাসপোর্ট অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারপর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এই বিভাগ নিয়ে ভাবছেন। তার অংশ হিসেবে নানা উদ্যোগ তিনি গ্রহণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, নোয়াখালীর অনেকে প্রবাসে রয়েছেন। প্রতিনিয়ত মানুষ প্রবাসে যাচ্ছে। আমরা সবার বিষয়েও নানা উদ্যোগ নিয়েছি। দ্রুত পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়া পাসপোর্ট হয়, এটা আমরা সবাইকে বিশ্বাস করাতে চাই। আপনারা সরাসরি আসবেন, কাজ সঠিক নিয়মে হবে।
ডিসি দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় পাসপোর্ট নিয়ে জনদুর্ভোগ, দালালদের উপদ্রব, বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে হয়রানি প্রভৃতি তুলে ধরে এসব সমস্যা উল্লেখ করে তা নিরসনে বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা।
ডিসি বলেন, নোয়াখালী প্রাচীন জেলা। এ জেলার রেমিট্যান্স যোদ্ধারা অর্থনীতির চাকা সচল করছেন। সহজেই তারা পাসপোর্ট পান না। আমরা চাই সেবাটি যেন দ্রুত ও সহজ হয়। তবে জনপ্রতিনিধিরা যদি ভুল তথ্য দেয়, তাহলে পাসপোর্ট বানাতে দেরি হয়। রোহিঙ্গারা যেন নাগরিক সনদ না নিতে পারে, সেজন্য জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকতে হবে।
সভায় এডিসি (সার্বিক) ইসরাত সাদমীন, সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসাসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।