নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রায় ১১ কোটি বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি ১৫এমভিএ, ৩৩/১১কেভি সাব-স্টেশন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি মতিন স্পিনিং মিলস পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, এডেক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাছ থেকে সাব-স্টেশন এবং স্টান্ডার্ড অ্যাকসেসরিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি। মূলত কোম্পানিটি তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহের খরচ কমানোর জন্য সাব-স্টেশন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি স্থাপন করতে ১১ কোটি চার লাখ ৩৮ হাজার টাকা ব্যয় হবে কোম্পানিটির। এর ফলে বছরে কোম্পানিটি ছয় কোটি ৭২ লাখ টাকার বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় করতে পারবে বলে জানা গেছে।
কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪০১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩২ দশমিক ৭২ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ৪০ দশমিক ৮৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৬ দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ টাকা ৭৯ পয়সা। আর ৩০ জুন ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা ৬৩ পয়সা। এছাড়া আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ছয় টাকা ১৭ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৩১ পয়সা। আর ৩০ জুন ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ৮৪ পয়সা। এছাড়া আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪০ পয়সা। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ৭ দশমিক ১৯ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৪ দশমিক ৫৯।
এদিকে সম্প্রতি চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবদন অনুসারে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১১ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৪২ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ২ টাকা ৩১ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২২-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৯৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ টাকা ৯৮ পয়সা। অর্থাৎ তিন প্রান্তিকের হিসাবে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ৩ টাকা ৭৯ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৯ টাকা ৬৪ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৪ টাকা ১৬ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫ টাকা এক পয়সা।