নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে ১০ কোম্পানি দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে সাত কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। আর তিন কোম্পানির ইপিএস কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড: ঘুরে দাঁড়িয়েছে আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড। প্র্রতিষ্ঠানটি দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভালো ব্যবসা করেছে। ফলে বেড়েছে শেয়ারপ্রতি আয়। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ১০ পয়সা। আগের বছর একই সময় শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৩৬ পয়সা। দুই প্রান্তিক শেষে (জানুয়ারি-জুন) ছয় মাসে ইপিএস হয়েছে ৩১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ১ টাকা ৪২ পয়সা লোকসানে ছিল।
নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্স: প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৭৫ পয়সা। গত বছর একই সময় এ আয় ছিল ৬৫ পয়সা। ইপিএস বেড়েছে ১০ পয়সা। এ কোম্পানির দুই প্রান্তিক মিলে শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে এক টাকা ৬৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৬৫ পয়সা।
পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স: দ্বিতীয় প্রান্তিকে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৭৯ পয়সা যা গত বছর একই সময় ছিল ৬৯ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ১০ পয়সা। দুই প্রান্তিক মিলে (জানুয়ারি-জুন) ইপিএস দাঁড়িয়েছে এক টাকা ৬৫ পয়সা, যা ২০১৬ সালের অর্ধবার্ষিকীর তুলনায় দুই পয়সা বেশি।
আরএকে সিরামিকস: দ্বিতীয় প্রান্তিকে আরএকে সিরামিকসের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৮২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪৭ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৩৫ পয়সা। কোম্পানির দুই প্রান্তিক (জানুয়ারি-জুন) মিলে শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে এক টাকা ৩৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ১৪ পয়সা।
সিঙ্গারবিডি: প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভালো ব্যবসা করেছে। এপ্রিল-জুন সময় প্রতিষ্ঠানটির আয় হয়েছে তিন টাকা ২৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৯ পয়সা বেশি। প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইপিএস ছিল চার টাকা ২৩ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭৮ পয়সা বেশি।
সাউথইস্ট ব্যাংক: সাউথইস্ট ব্যাংকের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আয় কমেছে। প্রতিষ্ঠানটির এপ্রিল-জুন সময় শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৩৪ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৯ পয়সা কম। কোম্পানিটি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইপিএস দাঁড়িয়েছে এক টাকা ২৯ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ পয়সা কম।
হাইডেলবার্গ সিমেন্ট: দ্বিতীয় প্রান্তিকে হাইডেলবার্গ সিমেন্টের ইপিএস কমেছে। এপ্রিল-জুন সময় এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ছয় টাকা ৪০ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ের চেয়ে দুই টাকা ৫৯ পয়সা কম। বছরের প্রথম ছয় মাসেও শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে অস্বাভাবিকভাবে। জানুয়ারি-জুন সময় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১২ টাকা ৭১ পয়সা। তবে গত বছর একই সময় আয় ছিল ১৯ টাকা ২৯ পয়সা।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো: বহুজাতিক ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে। এপ্রিল-জুন সময় এ কোম্পানির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৪৬ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এক টাকা ৬২ পয়সা কম। তবে বছরের প্রথম ছয় মাসের হিসাবে আয় বেড়েছে এ বহুজাতিক কোম্পানির। এ সময় ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা দুই পয়সা যা গত বছরের চেয়ে তিন টাকা ৭৮ পয়সা বেশি।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক: ইউসিবি ব্যাংকের দ্বিতীয় প্রান্তিকের শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৩৪ পয়সা। প্রতিষ্ঠানটির এপ্রিল-জুন সময় শেয়ারপ্রতি আয় করেছে এক টাকা ১৫ পয়সা, যা গত বছরের একই সময় ছিল ৮১ পয়সা। কোম্পানিটি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইপিএস দাঁড়িয়েছে এক টাকা ২৫ পয়সা, যা গত বছরের একই সময় ছিল এক টাকা ২৩ পয়সা।
প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স: (এপ্রিল-জুন) প্রান্তিকে কোম্পানিটির লাইফ রেভিনিউ বেড়েছে ৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। মোট লাইফ রেভিনিউ ফান্ড ছিল ৪৪৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকের শেষে লাইফ রেভিনিউ ফান্ড বেড়েছে ২০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির এপ্রিল-জুন সময় মোট লাইফ রেভিনিউ ছিল ৪৯৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
উত্তরা ব্যাংক: দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয় কমেছে এক পয়সা। প্রতিষ্ঠানটির এপ্রিল-জুন সময় শেয়ারপ্রতি আয় করেছে এক টাকা ৩২ পয়সা, যা গত বছরের একই সময় ছিল এক টাকা ৩৩ পয়সা। কোম্পানিটির বছরের প্রথম ছয় মাসে ইপিএস দাঁড়িয়েছে দুই টাকা তিন পয়সা, যা গত বছরের একই সময় ছিল দুই টাকা সাত পয়সা।