নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নৃশংসভাবে খুন হওয়ার ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও শেষ হয়নি হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কাজ। বিগত ১১ বছরে ৯৫ বার সময় নিয়েও আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তারা। সেই সাথে এতো বছরেও আলোর মুখ দেখেনি আইনশৃংক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনীর দেয়া ৪৮ ঘন্টা সময়।
প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন শেরেবাংলা নগর থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই)। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার হস্তান্তর করা হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে আদালত সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ গত ৪ জানুয়ারি এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ৫ মার্চ ধার্য করেন।
মামলায় আটজনকে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, মিন্টু, কামরুল হাসান, বকুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম ও আবু সাঈদ কারাগারে। পলাশ রুদ্র পাল ও তানভীর রহমান নামে দুজন হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছেন।
বিচারের দাবিতে ১১ বছর ধরেই বিভিন্ন সময়ে নানা কর্মসূচিও দেন সাংবাদিকরা। তবু চিহ্নিত হয়নি খুনিরা।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ও রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, ১১ বছরেও কোনো অগ্রগতি নেই, আর কবে হবে। কোনো অগ্রগতি হবে না। আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছি। শুধু এতটুকু বলতে পারি, তদন্ত কর্মকর্তা এ বিষয়ে কাজ করছেন না। আমাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ প্রতিবছর তারা নিয়ম মাফিকভাবে বলে আসছেন, দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কিছুই নয়। আদালতও যেখানে বার বার সময় দিচ্ছেন, সেখানে আমাদের আর কি বলার আছে!