নিজস্ব প্রতিবেদক: বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদনের পর থেকে প্রথম দিকে বাস্তবায়নের গতি একেবারেই কম থাকে। প্রথম ছয় মাস এভাবেই কেটে যায়। কয়েক বছর ধরেই এই ধারা চলমান আছে। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২১-২২ অর্থবছরের ১১ মাসে এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র ৬৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের বাকি ১৬ দিন। এই ১৬ দিনসহ চলতি মাসের ৩০ দিনে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য বাকি ৩৫ শতাংশ, যা টাকার অঙ্কে ৬৫ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা-পরবর্তী (একনেক) সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে মাস পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন হার ৬৫ দশমিক ৫৬
শতাংশ, যা টাকার অঙ্কে এক লাখ ৪২ হাজার ৩৮৭ টাকা। চলতি অর্থবছরের শেষ মাস চলছে। ফলে এ মাসেই নানা উন্নয়ন প্রকল্পে আরও ৬৫ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা খরচ করতে হবে। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের এডিপি বাস্তবায়ন গত বছরের একই সময় থেকে যা সাত দশমিক দুই শতাংশ বেশি। এছাড়া একই সময়ে টাকার হিসাবে ২০ হাজার ৫৬ কোটি টাকা ব্যয় বেশি করতে পেরেছি। এটা স্বস্তিদায়ক বিষয়। কারণ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির গতিশীলতা ছিল না এর আগে। তবে এখন গতি আরও বেড়েছে।
সংশোধিত এডিপির আওতায় মোট এক হাজার ৭৭০টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প এক হাজার ৫২০টি, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১৪২টি এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে রয়েছে ১০৮টি প্রকল্প।