১২২ থেকে ১২৪ টাকায় রেমিট্যান্স কিনছে ব্যাংকগুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডলারের দর বেঁধে দেয়ার পর প্রবাসী আয় কমে গেছে। তবে এখনও দর বেঁধে দেয়া অবস্থায় আছে। এক্ষেত্রে আগের চেয়ে নিয়ম একটু শিথিলতা এনেছে। মূলত ডলার সংকট কাটাতেই এই শিথিলতা আনা হয়েছে।

ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদা ১১০ টাকা ৫০ পয়সা দর ঠিক করে দিয়েছে। তবে ঘোষিত দরের চেয়ে বেশি প্রণোদনা দিয়ে রেমিট্যান্স আনারও সুযোগ দিয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাংকের বোর্ডের অনুমোদন নিতে হবে। এখন সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলো বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে ১২২ থেকে ১২৪ টাকা দর দিয়ে রেমিট্যান্স কিনছে। সবচেয়ে বেশি দরে কেনা হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। এর ফলে রেমিট্যান্স আহরণে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে এখন শীর্ষে উঠে এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

জানা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল এক্সপ্রেস নামের এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশি ব্যাংকগুলো প্রতি ডলার কিনতে হয়েছে ১২২ টাকা ৩৯ পয়সায়। স্মল ওয়ার্ল্ড নামের এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে আয় পাঠালে প্রতি ডলারে মিলছে ১২২ টাকার কিছু বেশি। এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি, প্রবাসী আয় অধ্যুষিত দেশগুলোতে তারা প্রবাসী আয় সংগ্রহের কাজ করে। আবার আন্তর্জাতিক মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান ‘ট্রান্সফাস্টের’ কাছ থেকে সর্বোচ্চ ১২৪ টাকা দরেও রেমিট্যান্সের ডলার কিনেছে।

সূত্র মতে, যে ব্যাংক যে রকম দরে ডলার কিনছে, বিক্রি করছে তার চেয়ে ১ টাকা বেশি দরে। যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এবিবি ও বাফেদা নির্ধারিত দরই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে রিপোর্ট করছে ব্যাংক।

ব্যাংকের প্রবাসী আয় কেনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা বলছেন, সব রেমিট্যান্স হাউস এখন ১২২-১২৩ টাকা দামে ডলার বিক্রির প্রস্তাব দিচ্ছে। কেউ প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে, আবার কেউ তা গোপনে করছে। এর বাইরে যাঁদের আয় বিকাশ, রকেটের মতো সেবার মাধ্যমে আসছে, তাঁরা কিছুটা কম দাম পাচ্ছেন।

বেশি দরে কেনার ফলে সার্বিকভাবে রেমিট্যান্স বেড়েছে। চলতি ১-৬ নভেম্বর পর্যন্ত প্রবাসী আয় এসেছে ৪৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে আয় এসেছিল ৩৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। ফলে এই সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০