নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী দেশের স্বল্প মূলধনি ১২ প্রযুক্তি কোম্পানি। এরই ধারাবাহিকতায় স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে কোম্পানিগুলো।
জানা যায়, গতকাল সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে এ বৈঠক অনিুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
কোম্পানিগুলো হলোÑসেবা ডট এক্সওয়াইজেড, চালডাল, যান্ত্রিক, ল্যান্ডনক, হ্যালো টাস্ক, বনডেস্টিন টেকনোলোজিস, ব্রোইনস্টেশন ২৩,
ই-কুরিয়ার, কাশ ফুড, সেমড, ডিভাইন আইটি ও এনানোভাস আইটি।
বৈঠকে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলো কীভাবে পুঁজিবাজারের স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, দেশের স্বল্প মূলধনি ১২টি টেকনোলোজি কোম্পানির প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছে কমিশন। বৈঠকে তারা কীভাবে পুঁজিবাজারের স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিশন কোম্পানিগুলোকে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোকে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নেয় বিএসইসি। এ বাজারে তালিকাভুক্তির জন্য স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে পাঁচ কোটি টাকা ও তালিকাভুক্তির পর পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা থাকতে হবে। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার নিচে থাকতে হবে।
গতকাল ফ্লোর প্রাইস নিয়ে নতুন নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। নির্দেশনা মতে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বোনাস বা রাইট শেয়ার ইস্যু করলে রেকর্ড ডেটের পরবর্তী দরকে ফ্লোর প্রাইস ধরা হবে।
অন্যদিকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের কাট অফ প্রাইস ৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানিটির কাট অফ প্রাইস নির্ধারণে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টা থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিডিং (নিলাম) অনুষ্ঠিত হয়।
বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ২২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে, যা তার সাবসিডিয়ারি কর্ণফুলী পাওয়ার ও বারাকা শিকলবাহা পাওয়ারে বিনিয়োগ, আংশিক দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধ ও আইপিওজনিত ব্যয়ে ব্যবহার করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস।