এক বছর আগে মার্লে ডায়াসের বয়স ছিল এগারো। সেই বয়সে বই সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয় ছোট্ট মার্লে। তবে শুধু কৃষ্ণকায় বালিকাদের নিয়ে লেখা বই দিয়ে সাজানো থাকবে তার বুকড্রাইভ। মার্লের সংগ্রহে থাকবে সেসব বই, যেখানে কৃষ্ণবর্ণ মেয়ের চরিত্রই মুখ্য। তার এ বুকড্রাইভের নাম ‘কালো মেয়ের হাজার বই’।
দেখতে দেখতে বছর পেরিয়ে গেছে। এগারো বছর পূর্ণ করে বারোয় পা দিয়েছে মার্লে। আর এটুকু সময়ে সে আট হাজার বই সংগ্রহ করে ফেলেছে। অথচ শুরুতে মাত্র এক হাজার বই সংগ্রহের ইচ্ছা ছিল তার। এখন শুধু সংগ্রহই নয়, আগ্রহী পাঠককে বইদানও করে চলেছে সে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শহরে বই বিতরণ করেছে শিশুটি।
ছোটবেলা থেকেই বইয়ের প্রতি আগ্রহী সে। তবে স্কুলের বইয়ে একটু আগ্রহ কম মার্লের। যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া এলিমেন্টারি বিদ্যালয়ের সিক্সথ গ্রেডের ছাত্রী মার্লে ডায়াস। বেড়ে উঠেছে নিউ জার্সিতে। ২০১৫ সালে ‘ডিজনি ফ্রেন্ডস ফল চেঞ্জ’ গ্রান্ট অর্জন করে সে। তার মায়ের নাম জেনিস। বড় হয়েছে জ্যামাইকার সেন্ট ম্যারিতে। বাবা জš§সূত্রে আমেরিকান।
কেবল পড়ালেখাই নয়, লেখালেখিতে সিদ্ধহস্ত ছোট্ট এ মেয়েটি। তার লেখায় মুগ্ধ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ প্রকাশক স্কলাসটিক করপোরেশন। এ প্রকাশনীর জন্য বই লেখায় মন দিয়েছে মার্লে। আগামী বছর শেষের দিকে তার লেখা প্রথম বই প্রকাশ হতে যাচ্ছে স্কলাসটিকের ব্যানারে। যেনতেন বিষয় নয়, সামাজিক ন্যায়বিচার, সমতা ও মানবাধিকার নিয়ে বইটি লিখছে সে। সেখানে স্বেচ্ছাসেবার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হবে। দশ বছর বয়সী যে কোনো পাঠক সহজে বুঝতে পারবে সেই বই, হতাশ হবেন না প্রাপ্তবয়স্ক পাঠকও। মূলত দশোর্ধ্বদের জন্য ননফিকশন বইটি লেখায় মন দিয়েছে সে। বইটির মাধ্যমে বিশ্বের গণমাধ্যম, নীতিনির্ধারক ও যুবাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করবে মার্লে ডায়াস।
Add Comment