১২ বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা মূলধন জোগান দিয়েছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে ২০০৫-০৬ অর্থবছর থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত ১২ বছরে সরকার ১০ হাজার ২৭২ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিয়েছে। মূলধন ঘাটতি মেটাতে এ অর্থ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

গতকাল জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল মতিনের এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠক শুরুর পর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

সংসদে অর্থমন্ত্রী জানান, দেশের সাত ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে; গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪১৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে চার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা ও বেসিকের ঘাটতির পরিমাণ সাত হাজার ৬২৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আর তিন বেসরকারি ব্যাংক কমার্স, ফারমার্স ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের মোট মূলধন ঘাটতি এক হাজার ৭৯১ কোটি ২০ লাখ টাকা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে ২০০৫-০৬ অর্থবছর থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত সরকার ১০ হাজার ২৭২ কোটি টাকার পুনঃমূলধনিকরণ সুবিধা দিয়েছে, যা ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোতে মূলধন হিসাবায়নে যুক্ত হয়েছে।’

তিনি জানান, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে সরকারি ব্যাংকে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন ঘাটতি ছিল সাত হাজার ৫৬৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আর বেসরকারি ব্যাংকে উদ্বৃত্ত প্রভিশন রয়েছে এক হাজার ৭৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। সামগ্রিকভাবে মোট ঘাটতি প্রভিশনের পরিমাণ ছয় হাজার ৩৪৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সোনালী ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দুই হাজার ৯০০ কোটি ৯১ লাখ টাকা, রূপালী ব্যাংকের এক হাজার ২৪৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, বেসিক ব্যাংকের তিন হাজার ৪২১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ১৯৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকের ঘাটতি ৮৬১ কোটি ৬১ লাখ টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১৫৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৮৯ কোটি ৯ লাখ টাকা প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঋণের শ্রেণিমান অনুযায়ী প্রতিটি ব্যাংককে নির্ধারিত হারে প্রভিশন বা নিরাপত্তাসূচক অর্থ সংরক্ষণ করতে হয়। সাধারণ ঋণের বিপরীতে দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে শুরু করে পাঁচ শতাংশ প্রভিশন রাখার নিয়ম রয়েছে। আর নি¤œমান, সন্দেহজনক ও মন্দ ঋণে যথাক্রমে ২০, ৫০ ও ১০০ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হয়। প্রভিশন ঘাটতি থাকলে কোনো ব্যাংক লভ্যাংশ দিতে পারে না।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০