Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 2:35 pm

১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি টাগবোট কিনবে চবক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর দিয়ে প্রতিবছর বাড়ছে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম। এ বাণিজ্যিক লেনদেনের সঙ্গে ভারসাম্য রাখতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বহুমাত্রিক সক্ষমতা বাড়াতে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিটি ৭০ টনের দুটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বোলার্ড পুলের টাগবোট সংগ্রহের লক্ষ্যে গতকাল বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং হংকংভিত্তিক ওচেলয় লি শিপইয়ার্ড’স লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। টাগবোট কেনা হলে বন্দরের বহরের সহায়ক বাহন বৃদ্ধি পাবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ও পণ্য হ্যান্ডলিং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কাজে নিয়োজিত বিদেশি জাহাজগুলোকে নিরাপদে বার্থিং, আনবার্থিং ও শিফটিং কাজে সহায়তার জন্য ১৪৫ কোটি ২২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং হংকংভিত্তিক ওচেলয় লি শিপইয়ার্ড’স লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুসারে ওই প্রতিষ্ঠান প্রতিটি ৫০০০ বিএইচপি বা ৭০ টনের দুটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বোলার্ড পুলের টাগবোট সরবরাহ করবে। এ টাগবোট দুটি আগামী বছরের জুন নাগাদ চবক নৌবহরে যুক্ত হবে।

গতকাল চট্টগ্রাম বন্দর সভাকক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এএসডি টাগবোট চবকের নৌ-বহরে যুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে, যা ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ে বিশাল অবদান রাখবে।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তুলনামূলকভাবে বড় জাহাজ ভেড়ানোর সুবিধা সৃষ্টি করা। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য চট্টগ্রাম বন্দর, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া এলাকায় গৃহীত প্রকল্প ও জেটিগুলো অধিকসংখ্যক বড় জাহাজ বার্থিং, আনবার্থিং এবং কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বড় বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর নিরাপদ বার্থিং ও আনবার্থিং সহায়তা প্রদান, নতুন বাস্তবায়নাধীন বে-টার্মিনাল এবং মহেশখালী ও কুতুবদিয়া এলাকায় মাতারবাড়ী টার্মিনালের অপারেশনাল কাজে সহায়তা দেয়া হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে আগত জাহাজগুলোর নিরাপত্তা সহায়তা বৃদ্ধিকরণ, বহির্নোঙর ও সমুদ্র এলাকায় রেসকিউ কার্যক্রম পরিচালনা করা, বাণিজ্যিক জাহাজগুলোয় অগ্নিনির্বাপক সহায়তা প্রদান, নদী ও পরিবেশ দূষণবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করা, বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সহায়তা প্রদান, কর্ণফুলী চ্যানেলের নৌ-সংরক্ষণে সহায়তা প্রদান প্রভৃতি লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জন করা সম্ভব হবে।