শেয়ার বিজ ডেস্ক : ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার পর এক হাজার পাঁচশ’র বেশি সামরিক কর্মকর্তাকে হারিয়েছে রাশিয়া। তাদের মধ্যে ১৬০ জন জেনারেল রয়েছেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর গত ৯ মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে এত প্রাণহানি হলো রাশিয়ার। খবর: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।
যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উš§ুক্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রুশ সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রাণহানির এ তথ্য তৈরি করা হয়েছে। এখানে মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সর্বজনীনভাবে প্রাপ্ত অন্যান্য তথ্য একত্র করা হয়েছে। এছাড়া রুশ সেনা কর্মকর্তাদের প্রাণহানির এ সংখ্যাটি কিলডইনইউক্রেন নামের একটি টুইটার হ্যান্ডেলে সংকলিত করা হয়েছে। অ্যাকাউন্টে ইউক্রেনে রুশ সেনাদের হতাহতদের বিষয়ে প্রকাশিত রাশিয়ার নিবন্ধগুলো পোস্ট করা হয়।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামোগুলোয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। এতে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ গ্রিড ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে এবং লাখ লাখ মানুষের বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। চলমান এ যুদ্ধে রাশিয়ারও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং নিহতদের মধ্যে রাশিয়ার ১৬০ জেনারেল ও কর্নেল রয়েছে।
হামলা শুরুর পর থেকে প্রায় এক লাখ ৯০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে রাশিয়া, যারা এখনও যুদ্ধ করছে। এর মধ্যে তারা প্রায় ১০ শতাংশ শক্তি হারিয়েছে। তবে রাশিয়া বা ইউক্রেনের পক্ষে আসলে কতজন প্রাণ হারিয়েছে, তার নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য নেই। গত মার্চের শেষ সপ্তাহে রুশ গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, ইউক্রেনে নিজেদের এক হাজার ৩৫১ সেনার প্রাণহানি হয়েছে। এরপর দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে হতাহত নিয়ে কোনো তথ্য জানায়নি।
চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ জেনারেল মার্ক মিলি বলেছিলেন, ইউক্রেনে এক লাখের বেশি রাশিয়ার সামরিক কর্মী নিহত বা আহত হয়েছে। কিয়েভের বাহিনীও সম্ভবত একই রকম হতাহতের শিকার হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে এবং রাশিয়া বা ইউক্রেনের পক্ষে সামরিক বিজয় অর্জন করা সম্ভব নাও হতে পারে। একটি পারস্পরিক স্বীকৃতি থাকতে হবে যে, সামরিক বিজয় সম্ভবত প্রকৃত অর্থে সামরিক উপায়ে অর্জন করা যায় না এবং সেজন্য আপনাকে অন্য উপায়ে ফিরে যেতে হবে।