নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর গতকাল ১৬ রেস্টুরেন্টকে জরিমানা করেছে। সম্প্রতি রাজধানীর লালমাটিয়ার ক্যাফে সেভেন হ্যাভেনে ইসতিয়াক আহম্মেদ শিশির নামে এক গ্রাহকের কাছে ১৫ টাকার কোমল পানীয়ের দাম নেওয়া হয়েছে ৪০ টাকা। শুধু তাই নয়, সেই ৪০ টাকা দাম হিসেবে এবং তার ওপর ১৫ শতাংশ হারে আরও ৬ টাকা ভ্যাট নেওয়া হয়েছে। এমন অরাজকতার প্রতিকার চেয়ে কয়েক মাস আগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগ করেন শিশির।
গতকাল সেই অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয় অধিদফতরের কার্যালয়ে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই রেস্টুরেন্টটিকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আর এমন কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে না করার জন্য সতর্ক করা হয়। গতকাল অধিদফতরে একই ধরনের ১৮টি অভিযোগের শুনানি হয়েছে। যার মধ্যে জরিমানা হয়েছে ১৬টির বাকি দুই রেস্টুরেন্টের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
গতকাল শুনানি শেষে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক প্রণব কুমার প্রামাণিক জানান, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে আজ ১৮ প্রতিষ্ঠানের শুনানি হয়। যার সবগুলোই রেস্টুরেন্ট।
এর মধ্যে ১৬ প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। প্রায় সবগুলো অভিযোগই ছিল খাবারের অতিরিক্ত দাম নেওয়া। আমরা এসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছি। জরিমানার ২৫ শতাংশ আইন অনুসারে অভিযোগকারী পাবেন।
ভোক্তা অধিকার সূত্রে জানা গেছে, উত্তরা তিন নম্বর সেক্টরের খাজানা রেস্তোরাঁকে ৬৫ টাকার পানীয় ৭০ টাকায় বিক্রি করায় জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া বনানী ই-ব্লকের থ্রি ড্রাগন অ্যাট পার্ল রেস্টুরেন্টকে ২৫ টাকার মিনারেল ওয়াটার ১০০ টাকায় বিক্রির অভিযোগে, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর বম্বে টু বেইজিং চাইনিজকে ১৫ টাকার মাম পানি ২০ টাকায় বিক্রির অভিযোগে ও সেগুনবাগিচার ভোজ রেস্তোরাঁকে ১০ টাকার পেস্ট্রি ২৫ টাকা বিক্রির অভিযোগে ৪ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।