Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 7:47 pm

১৫ বছর পর চালু হচ্ছে রাজশাহী রেশম কারখানা

আসাদুজ্জামান রাসেল, রাজশাহী : ১৫ বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলছে রাজশাহী রেশম কারখানা। রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার প্রচেষ্টায় আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে খুলতে যাচ্ছে এই রেশম কারখানা। গত শনিবার দুপুরে রাজশাহী রেশম কারখানা পরিদর্শন করেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।

তিনি বলেন, ‘আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে তিন স্তরে চালু হবে রেশম কারখানা। আর আগামী ছয় মাসের মধ্যে চালু করা হবে পুরো কারখানা।’

ফজলে হোসেন বলেন, রেশম উৎপাদন ও তুত চাষের জন্য ইতোমধ্যে রেশম বোর্ড ৩২ কোটি টাকার বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ১৪ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ে রেশম বোর্ডের সভায় এ প্রকল্প গৃহীত হয়।

রাজশাহীবাসীর দাবি ছিলÑরাজশাহীর রেশম কারখানাটি খুলে দেওয়ার। আর এ শিল্পটি চালুর মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষ তাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। অবশেষে রাজশাহীবাসীর দাবি পূরণ হতে চলেছে।

পরিদর্শনকালে ফজলে হোসেন বলেন, ‘রেশম কারখানা খুলতে আমরা এতদিন অনেক আন্দোলন করেছি; সব শেষে এটি চালু করতে সার্থক হয়েছি।’

রাজশাহী নগরের শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় ১৯৬১ সালে সাড়ে ১৫ বিঘা জমির ওপর স্থাপিত হয় রাজশাহী রেশম কারখানাটি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার প্রায় ১০ কোটি টাকার নতুন যন্ত্রপাতি কিনে কারখানাটির আধুনিকায়ন করে। লোকসান থাকলেও কোম্পানিটি তখন ভালোই চলছিল। কিন্তু মূলধন না থাকার অজুহাতে বিএনপি সরকার ২০০২ সালের ৩০ নভেম্বর কারখানাটি বন্ধ করে দেয়। ওই সময় কারখানাটির কাঁধে ছিল এক কোটি ১৩ লাখ টাকার ঋণের বোঝা। ওই সময় সেখানে কর্মরত ছিলেন প্রায় ৩০০ স্থায়ী শ্রমিক। বন্ধের পর স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে চার শতাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েন। পাশাপাশি বিপাকে পড়েন আরও প্রায় ৫০ হাজার পলুচাষি। সে সময় আন্দোলন করেও কারখানাটি চালু করতে পারেনি রাজশাহীবাসী। বিক্রির জায়গা না পেয়ে এ অঞ্চলের পলুচাষিদের অনেকেই চাষ কমিয়ে দিতে বাধ্য হন।

সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘কারখানাটি চালু হলে রাজশাহী অঞ্চলের বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে। একই সঙ্গে রেশম গবেষণা কেন্দ্রে একটি মডেল কারখানা ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। যাতে করে বাইরের মানুষ এসে সত্যিকারের রাজশাহীর সিল্ক সম্পর্কে অবহিত হতে পারে।’

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নুর-উর-রহমান, রাজশাহী রেশম কারখানার পরিচালক আনিসুল হক ভুঁইয়াসহ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।