ক্রীড়া ডেস্ক : ১৫ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়ের দেখা পেলো বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে ডাচদের ৯ রানে হারিয়ে শুভসূচনা করল টাইগাররা। এর আগে বাংলাদেশ বিশ্বমঞ্চে সর্বশেষ জয়ের দেখা পেয়েছিল ২০০৭ সালে।
আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। দুই বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য ও শান্ত ৫ ওভারে তুলে নেন ৪৩ রান। তবে পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে বাংলাদেশ খায় ধাক্কা। এলোমেলো শটে সৌম্য ১৪ বলে ১৪ রান করে আউট হন। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর সাজঘরে ফেরেন শান্তও (২৫)। এরপর টানা তিন ওভারে লিটন দাস (৯), সাকিব আল হাসান (৭) ও ইয়াসির আলীর (৩) উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
মিডল অর্ডারে আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান দলের হাল ধরে আরও ৪৪ রান যোগ করেন। সোহান ১৩ রানে বিদায়ের পর আফিফ ২৭ বলে সমান দুই ৪ ও ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেনের ১২ বলে অপরাজিত ২০ রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করে বাংলাদেশ।
বোলিংয়ে নেদারল্যান্ডসের হয়ে পল ভ্যান মিকোরেন ও বাস ডি লিড ২টি করে উইকেট পান। এছাড়া টিম প্রিঙ্গেল, লোগান ভ্যান বিক, সারিজ আহমেদ ও ফ্রেড ক্লাসেন প্রত্যেকে একটি করে উইকেট পান।
১৪৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই তাসকিনের তোপের মুখে পড়ে নেদারল্যান্ডস। শুরুতেই দুই বলে দুই উইকেট হারায় তারা। এরপর সাকিবের এক ওভারে রান আউটে পড়ে আরও দুই উইকেট। তাতে ১৫ রানেই ৪ উইকেট হারায় ডাচরা।
তবে এরপরই ডাচরা ম্যাচে ফেরে কলিন অ্যাকারম্যান আর স্কট অ্যাডওয়ার্ডসের জুটিতে। দুজন মিলে ৪৪ রানের জুটি গড়ে ডাচদের ফেরান লড়াইয়ে। যদিও অ্যাডওয়ার্ডসকে ফিরিয়ে সাকিব আবারও ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন তাদের। এরপর হাসান মাহমুদ পেলেন জোড়া উইকেট। ৮১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ডাচরা তখন অকূল পাথারই দেখছে।
১৭তম ওভারে আক্রমণে এসে তাসকিন আহমেদ যখন ফেরালেন শারিজ আহমেদ আর ইনিংস সর্বোচ্চ ৬২ রান করা অ্যাকারম্যানকে, তখন জয়টা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। শেষ ওভারে সৌম্য সরকার পল ফন মিকারেনকে ফিরিয়ে বাকি আনুষ্ঠানিকতাটা সারেন। ফলে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানে অলআউট হয় ডাচরা।
বোলিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে ২৫ রানে ৪ উইকেট নেন পেসার তাসকিন আহমেদ। এছাড়া আরেক পেসার হাসান মাহমুদ ২টি, সাকিব ও সৌম্য নেন ১টি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৪৪/৮ (শান্ত ২৫, সৌম্য ১৪, লিটন ৯, সাকিব ৭, আফিফ ৩৮, ইয়াসির ৩, সোহান ১৩, মোসাদ্দেক ২০, তাসকিন ০, হাসান ০; ক্লাসেন ৪-০-৩৩-১, আকারম্যান ১-০-৪-০, ফন মেকেরেন ৪-০-২১-২, ডে লেডে ৩-০-২৯-২, প্রিঙ্গল ২-০-১০-১, শারিজ ৩-০-২৭-১, ফন বিক ৩-০-১২-১)।
নেদারল্যান্ডস : ২০ ওভারে ১৩৫ (স্কট ১৬, ম্যাক্স ও’ডাউড ৮, বিক্রমজিং সিং ০, বাস ডি লিড ০, কুপার ০, একারমান ৬২, প্রিঙ্গল ১, বিক ২, ক্লাসেন ৭, মিকেরেন ২৪ ; তাসকিন ৪-০-২৫-৪, হাসান ৪-১-১৫-২, মোস্তাফিজ ৪-০১৯-০৯, সাকিব ৪-০-৩২-১, সৌম্য ৩-০-২৯-১)।
ফল : ৯ রানে জয়ী বাংলাদেশ।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : তাসকিন আহমেদ।