নিজস্ব প্রতিবেদক: কোম্পানির ১৫ শতাংশ শেয়ার কর্মীদের মালিকানায় থাকলে তারা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য ভালোভাবে কাজ করবে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের সঙ্গে তাদের নিজেদেরও উন্নয়ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ। গতকাল ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ডিএসই আয়োজিত ‘নিউ মডিউল অব ইএসএস রিগার্ডিং অ্যালটমেন্ট অব ফিফটিন পার্সেন্ট আইপিও শেয়ারস অ্যামং এমপ্লয়িস/আদার ক্যাটেগরি’-এর উদ্বোধন ও সচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কমিশনার বলেন, কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে আইপিও’র শেয়ার বরাদ্দের জন্য সফটওয়্যারে নতুন যে মডিউলটি তৈরি করা হয়েছে, তা ডিএসই’র জন্য একটি বড় অর্জন। নতুন নতুন সফটওয়্যার শুধু তৈরি করলেই হবে না, পুঁজিবাজারে বিভিন্ন ধরনের নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়ে ডিএসইকে ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়া ডিএসই’র যে মৌলিক দায়িত্ব রয়েছে, সেগুলো পরিপালন করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য সবাইকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কোম্পানির ১৫ শতাংশ শেয়ার কর্মীদের মালিকানায় থাকলে কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য ভালোভাবে কাজ করবে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের সঙ্গে তাদের নিজেদেরও উন্নয়ন হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির কর্মচারীরাও কোম্পানি’র আইপিও’র শেয়ার বরাদ্দ পায়। কর্মীরা যদি মালিকানা না থাকে তবে অনেকাংশে কোম্পানির আশানুরূপ উন্নয়ন হয় না। কর্মচারীরা মালিকানায় থাকলে কোম্পানির উত্তোরত্তর উন্নয়ন সাধিত হয়।
পরে কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ এই মডিউলটির উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার।
বক্তব্য রাখেন বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, অনেক সময় কর্মচারী ও কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। কারণ তারা মনে করেন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে কমপ্লায়েন্স ও জবাবদিহি বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে তাদের জন্য ১৫ শতাংশ শেয়ার বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ইনসেনটিভের কারণে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে উদ্ধুদ্ধ হবেন। তবে তাদের ক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতো বিও হিসেবে ২০ হাজার টাকা থাকতে হবে না। শুধু প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী হলে চলবে।
তিনি আরও বলেন, একজন এমপ্লয়ি কোটা আবেদন করলে তিনি আর জেনারেল কোটায় আবেদন করতে পারবেন না। কোনো কোম্পানি যাতে আইপিও’র সময় নতুন ব্যক্তিকে এনে এমপ্লয়ি বানিয়ে আবেদন করতে না পারে, সে ব্যবস্থা এই সফটওয়্যারে রয়েছে। এই নতুন মডিউলটিতে কোনো সমস্যা থাকলে বা বুঝতে অসুবিধা হলে সংশ্লিষ্ট টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তা সমাধান করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিএসই’র প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা জিয়াউল করিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিএসই ট্রেনিং একাডেমির হেড এবং সিনিয়র ম্যানেজার মুহাম্মদ রনি ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসই’র লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ম্যানেজার রবিউল ইসলাম।