নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হলে প্রতি টন রডের দাম বাড়বে সাত হাজার ৫০০ টাকা। একই সঙ্গে শিল্পটিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এজন্য ভ্যাটের হার ৩ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন এ খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এ সময় এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যবসায়ী নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অটো রি-রোলিং অ্যাসোসিয়েশন চেয়ারম্যান মানোয়ার হোসেন বলেন, ‘নতুন ভ্যাট আইন অনুযায়ী ১৫ শতাংশ ভ্যাট কার্যকর করা হলে প্রতি টন রডের মূল্য বেড়ে যাবে ৭ হাজার ৫০০ টাকা। দাম বেড়ে গেলে ক্রেতারা এসব পণ্য কেনা কমিয়ে দেবে। বাজার সংকুচিত হয়ে পড়বে। ফলে দ্রুত অগ্রসরমান এ খাতটি বড় একটি ধাক্কা খাবে।’
তিনি বলেন, ‘এজন্য আমরা চাই সরকারের সংশ্লিষ্টরা ১৫ শতাংশের পরিবর্তে একটি সহনীয় মাত্রায় ভ্যাট কার্যকর করবে। আমাদের দাবি এটি ৩-৫ শতাংশের মধ্যে থাকুক। আর এ সুবিধাটি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রেখে, একবারে চাপিয়ে না দিয়ে ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করা হোক।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহীদউল্লাহ্ লিখিত বক্তব্যে বলেন, রডের দাম বেড়ে গেলে বাড়ি বা ভবন নির্মাণসহ সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এতে গ্রামাঞ্চলে রড ব্যবহারের মাধ্যমে আবাসন নির্মাণের যে মানসিকতা তৈরি হয়েছে, সেটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়া দেশে চলমান অবকাঠামো নির্মাণের চলমান প্রকল্প ব্যয় বাড়বে, সরকারের এডিপি বাস্তবায়ন বিলম্বিত ও বাধাগ্রস্ত হবে এবং নির্দিষ্ট চুক্তিতে কর্মরত ঠিকাদারদের ব্যয় বৃদ্ধি পেলে তারা বড় একটি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
উল্লেখ্য, ক্রয়পর্যায়ে রডের কাঁচামাল (৯০ শতাংশই আমদানি করা হয়) এম এস স্ক্র্যাপ ও স্পঞ্জ আয়রনের ওপর কোনো ভ্যাট নেই। এটা শূন্য শতাংশ রাখার এবং বিক্রিপর্যায়ে এম এস রড, এম এস বিলেট এবং এম এস ইংগট-এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারণ করার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে রি-রোলিং মিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মাহবুবুর রশিদ, স্টিল মিলস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ ফজলুর রহমান, ক্যাবের প্রতিনিধি, রিহ্যাবের প্রতিনিধি, সিমেন্ট খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ অন্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
Add Comment