নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবারে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী অবিবাহিত মেয়ে থাকলে ভিজিডি কর্মসূচিতে তাদের তালিকাভুক্ত করতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
ভিজিডি উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে উপকারভোগীর পরিবারে ১৫ থেকে ১৮ বছরের অবিবাহিত মেয়ে থাকলে সেসব পরিবারকে ২০২৩-২৪ চক্রে উপকারভোগী পরিবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা দিয়ে মাঠ পর্যায়ে পত্র জারির সুপারিশ করা হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর সংসদীয় কমিটির বৈঠকে পরিবারে বাল্যবিয়ে থাকলে সরকারের ভিজিডি সহায়তা না দেয়ার সুপারিশ করা হয়।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন ভিজিডি (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট) কর্মসূচি বাংলাদেশের গ্রামীণ দুস্থ নারীদের আর্থসামাজিক অবস্থা উন্নয়নে বাস্তবায়িত একটি সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম।
ভিজিডি উপকারভোগী নারীরা মাসে ৩০ কেজি চাল পান। এছাড়া সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মাধ্যমে প্রশিক্ষণ পান।
দেশের ৪৯৩টি উপজেলার ৪ হাজার ৫৭৯টি ইউনিয়নে ১০ লাখ ৪০ হাজার নারীকে এ কর্মসূচির মাধ্যমে চাল দেয়া হচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত মোট ৯১ লাখ ৮০ হাজার নারী ভিজিডি কর্মসূচির মাধ্যমে চাল দেয়া হয়েছে।
সংসদীয় কমিটি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দেশব্যাপী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোয় দুই শিফটে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করা এবং প্রশিক্ষণের বিষয়ে ব্যাপকভিত্তিক প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করেছে।
এছাড়া বাল্যবিয়ে রোধে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ইউনিয়নভিত্তিক কাজিসহ অন্যদের বাল্যবিয়ের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচারণার ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
ঢাকায় নির্মাণাধীন জয়িতা টাওয়ারে বিপণন কেন্দ বরাদ্দের ক্ষেত্রে একটি আইন/বিধি প্রণয়ন করা, পণ্যের গুণগতমান ও ডিজাইন নিশ্চিত করা এবং ই-জয়িতা ও ই-কমার্স বিষয়ে নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশও করেছে সংসদীয় কমিটি।
কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য শবনম জাহান, লুৎফুন নেসা খান, সাহাদারা মান্নান ও কানিজ ফাতেমা আহমেদ অংশ নেন।
