নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের তিন প্রতিষ্ঠান ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ও ডাচ্?-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের মোট ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৮৮৩তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড: ওয়ান ব্যাংকের ৪০০ কোটি টাকার আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল ও ফ্লোটিং রেট সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড অনুমোদন করেছে। বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চসম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা। বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ওয়ান ব্যাংক টায়ার-টু মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে গ্রিন ডেল্টা ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এছাড়া বন্ডটি অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।
‘বি’ ক্যাটেগরির ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এক হাজার ৮৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ২৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ৮৪৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১০২ কোটি ৯৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৩টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের ৩২ দশমিক ০৪ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালক, প্রতিষ্ঠানিক ৩১ দশমিক ৬৮ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬ দশমিক ০৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড: ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল ও আনসিকিউরড ফোর্থ সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড অনুমোদন করেছে। বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চসম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১ কোটি টাকা। বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ব্যাংকটি টায়ার-টু মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে।
এছাড়া এদিন বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এছাড়া বন্ডটি অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।
কোম্পানিটি ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭৪৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩ হাজার ৪১৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ৭৪ কোটি ৭৯ লাখ ৩১ হাজার শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৮৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য তিন শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার।
ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড: ব্র্যাক ব্যাংকের ৭০০ কোটি টাকার নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, কুপন বিয়ারিং, ফ্লোটিং রেট সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড অনুমোদন করেছে। বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চসম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা। এ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ব্র্যাক ব্যাংক টায়ার-টু মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এছাড়া বন্ডটি অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।
ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন ৫ হাজার কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৬০৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির রিজার্ভে রয়েছে চার হাজার ১২১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। তাদের মোট শেয়ারসংখ্যা ১৬০ কোটি ৮৮ লাখ ২৯ হাজার ২২৭। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৬ দশমিক ২৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩২ দশমিক ৬৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৭ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
