নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৬ আগস্টের মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের ঈদের বোনাস পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে চলতি মাসের বেতন মালিকদের সক্ষমতা অনুযায়ী ১৯ আগস্টের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পোশাক কারখানা ও অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কারখানার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কোর কমিটি’র বৈঠকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, শ্রমিকদের জুলাই মাসের বেতন আগস্ট মাসের ১০ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে; বোনাস দিতে হবে ১৬ আগস্টের মধ্যে। আর শ্রমিকদের চলতি মাসের বেতন ১৯ আগস্টের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। বরাবরের মতোই পর্যায়ক্রমে শ্রমিকদের ছুটি দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়ে মুজিবুল হক বলেন, ঈদুল ফিতরের আগে নেওয়া সভার সিদ্ধান্তগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হওয়ায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা যায়নি। ঈদুল ফিতরে এক পোশাক কারখানার মালিক শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পরে সরকার ওই মালিকদের সঙ্গে কথা বলে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ঈদেও সমস্যা হয়নি, শ্রমিকদের কোনো অসন্তোষ দেখা যায়নি, এই ঈদেও হবে না।
বৈঠকে উপস্থিত শিল্প পুলিশের মহাপরিচালক আবদুস সালাম বলেন, ঈদুল আজহার আগে গার্মেন্ট সেক্টরে দেশের কোথাও কোনো ধরনের নৈরাজ্য বা অরাজকতা সৃষ্টির আশঙ্কা নেই। তবে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের ২৬টি কারখানায় বেতন ও বোনাস পরিশোধের বিষয়ে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। বিজিএমইএ উদ্যোগ নিলে এই সংকটও কেটে যাবে।
বৈঠকে উপস্থিত বিজেএমইএ’র সহসভাপতি আবদুল মান্নান কচি বলেন, এটি কোনো সমস্যা নয়। আলাপ-আলোচনা করে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। বৈঠকে জানানো হয়, আশুলিয়ার বাঁধন করপোরেশন এবং কোরিয়ান কারখানা ইয়াং জ্যু ফ্যাশনে এক বছর ধরে বেতন-বোনাস পরিশোধ নিয়ে জটিলতা চলছে, যা এখনও বিদ্যমান। বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, বিকেএমইএর সহসভাপতি মোস্তফা কামাল পাশা, বিজিএমইএর সহসভাপতি এসএম মান্নান কচি এবং শ্রমিকদের পক্ষে রায় রমেশ, সিরাজুল ইসলাম রনি ও লিশা ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন।