১৬ আগস্ট থেকে চালু হবে যে ১৩ ট্রেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই আরও ১২ জোড়া আন্তনগর এবং একজোড়া কমিউটার ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ১৬ আগস্ট থেকে এই ট্রেনগুলো তাদের পুরনো সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল করবে।

চালু হতে যাওয়া ট্রেনগুলো হলো: একতা এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, হাওর এক্সপ্রেস, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, তিতুমীর এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, বিজয় এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস, সীমান্ত এক্সপ্রেস, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ও জামালপুর এক্সপ্রেস।

সরকার সাধারণ ছুটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন রুটে ১৯টি আন্তনগর ট্রেন পুনরায় চালু করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রতিটি ট্রেনের ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে।

আগামী ১৬ আগস্ট থেকে চালু হতে যাওয়া ট্রেনগুলোর ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। ট্রেনে আসনবিহীন কোনো যাত্রী পরিবহন করা হবে না। সব টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে। ঢাকায় বিমানবন্দর, জয়দেবপুর এবং নরসিংদী স্টেশনে আন্তনগর ট্রেনগুলোর যাত্রাবিরতী থাকবে না। সেই সঙ্গে ট্রেনের ভেতরে বন্ধ থাকবে খাবার সরবরাহ ব্যবস্থা।

এ বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান বলেন, ১৬ আগস্ট থেকে আন্তনগর ট্রেন বাড়ানো হবে। ৩০ আগস্টের মধ্যে সব আন্তনগর ট্রেন চালুর পরিকল্পনা আছে। এরপর পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় নামমাত্র কিছু মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। গত ৩১ মে আট জোড়া আন্তনগর ট্রেন চালু করা হয়। গত ৩ জুন আরও ১১ জোড়া আন্তনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। তবে কিছুদিন পর যাত্রীর অভাবে দুই জোড়া ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। এখন মোট ১৭ জোড়া, অর্থাৎ ৩৪টি ট্রেন চলাচল করছে।

রেলের পরিচালন বিভাগ সূত্র জানায়, স্বাভাবিক অবস্থায় সারা দেশে ১০০টি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। এখন বন্ধ থাকা ৬৬টি ট্রেন পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে ৩০ আগস্টের মধ্যে সব আন্তনগর চালুর কথা বলা হচ্ছে। তবে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাইছে ২৫ আগস্টের মধ্যে সব আন্তনগর ট্রেন চালু করতে। এ ছাড়া বন্ধ স্টেশনগুলো ২৫ আগস্টের পর চালু করে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।

রেলের প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, কমলাপুর স্টেশন সুরক্ষিত। সেখানে টিকিটবিহীন অযাচিত মানুষের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের সুযোগ আছে। কিন্তু বিমানবন্দর, টঙ্গী, জয়দেবপুর ও নরসিংদী স্টেশনে সেই সুযোগ নেই। এ জন্য করোনা পরিস্থিতির পর এসব স্টেশনে অযাচিত মানুষের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজ এখনো পুরো শেষ হয়নি। ২০ আগস্টের মধ্যে কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী।

ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত দুজন কর্মকর্তা বলেন, যাত্রীবাহী ও মালবাহী মিলিয়ে মোট ৩৫৫টি ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেনই বেশি। লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চালু না করলে যাত্রীসংখ্যা বাড়বে না।

ওই কর্মকর্তারা আরও বলেন, ঢাকার পাশের ৪টি স্টেশন বন্ধ রেখে, অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে এবং শুধু অনলাইনে টিকিট বিক্রি করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা যাবে না। কারণ, এসব কড়াকড়ির কারণে যে ট্রেনগুলো এখন চলছে, সেগুলোর গড়ে ৭০ শতাংশ আসন ফাঁকা থাকছে। স্বাস্থ্যবিধির জন্য অর্ধেক আসনের টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখা হচ্ছে। আরও প্রায় ২০ শতাংশ আসনে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে ৩০ শতাংশ আসন পূর্ণ করে ট্রেন চলছে। এতে ট্রেনের খরচই উঠছে না।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০