Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 5:53 pm

১৭ মার্চ বাণিজ্যমেলা হচ্ছে না: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: পূর্বনির্ধারিত সময়ে (১৭ মার্চ) ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শুরু হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে মেলার আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।

আজ রোববার বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশ-চায়না এক্সিবিশন সেন্টার হস্তান্তর করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।

গত ডিসেম্বরে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে (ইপিবি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ১৭ মার্চ বাণিজ্যমেলা আয়োজনের জন্য দিন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।

আজকের টিপু মুনশি বলেন, ‘রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সঙ্গে আলোচনা করে মেলার সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়েছিল। এই ব্যাপারে আমরা একটা প্রাথমিক সম্মতিও পেয়েছিলাম। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- এটাকে স্লো করার জন্য। পরিস্থিতি উন্নয়ন হলে মেলার আয়োজন করবো।’

মেলা আয়োজনের পুরো বিষয়টি এখন নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উন্নতির ওপর- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাণিজ্যমেলার জন্য পূর্বাচলে একটি স্থায়ী ঠিকানা হলেও মেলা কবে হবে সেটা এখনো অনিশ্চিত। করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বছর মেলা করার জন্য আমরা মানসিকভাবে একটা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এবার মেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও আগামীতে জানুয়ারি থেকে মেলা আয়োজন করা হবে। প্রতি বছর ১ জানুয়ারি মেলা আয়োজনের যে ধারাবাহিকতা সেটা আমরা ধরে রাখবো। তবে এখন থেকে বাণিজ্য ও রপ্তানি সংক্রান্ত সব মেলা পূর্বাচলে নির্মিত বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজনে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে আমাদের এক্সপোর্ট রিলেটেড মেলা পূর্বাচলেই হবে। ওই মেলার যে প্রেমেসিস, সেখানে সারাবছর বিভিন্ন রকমের প্রদর্শনী, অনুষ্ঠান করা হবে। সারাবছর ধরে বাণিজ্য প্রসারে নতুন এই প্রদর্শনী কেন্দ্রটিতে নানা আয়োজন করা হবে।

পূর্বাচল ৪ নম্বর সেক্টরে ২০ একর জমির ওপর ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর মেলার অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করে চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। গত বছর ৩০ নভেম্বর নির্মাণ কাজ শেষ করার ঘোষণা দেয় তারা।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানান হয়, বাণিজ্য মেলা ও প্রদর্শনীর স্থায়ী এই অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা, যার মধ্যে চীন সরকার অনুদান হিসাবে দিয়েছে ৫২০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার ২৩১ কোটি ও ইপিবির নিজস্ব তহবিল থেকে ২১ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে এই প্রকল্পে।

এ প্রদর্শনী কেন্দ্রের মোট ফ্লোর স্পেস ৩৩ হাজার বর্গমিটার। ভবনের মোট ফ্লোর স্পেস ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার। এক্সিবিশন হলের মোট আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটার।

দোতলা পার্কিং ভবনে ৭ হাজার ৯১২ বর্গ মিটার জায়গায় ৫০০ গাড়ি রাখা যাবে। এছাড়া এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের সামনে খোলা জায়গায় আরও এক হাজার গাড়ি পার্ক করা যাবে। এক্সিবিশন হলে ৮০০টি স্টল বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথের আয়তন ৯ দশমিক ৬৭ বর্গমিটার।