শেয়ার বিজ ডেস্ক: আগামী ১৮ জুন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৬ থেকে ৫৯ মাস পর্যন্ত বয়সী দুই কোটি ২০ হাজার শিশুকে দেশের সব সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং অন্যান্য নির্ধারিত স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে একযোগে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। খবর: বাসস
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রচারণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশের ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ শিশুকে, ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশু ১ কোটি ৯৫ লাখ শিশুসহ ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী মোট ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে লাল ও নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মোট ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী, ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াতে কাজ করবে।
তিনি বলেন, ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াতে নিয়ে আসার আগে শিশুকে ভরা পেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে এবং ৬ মাসের কম বয়সী এবং ৫ বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
পরে একই স্থানে ‘বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস-২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে আরও একটি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে এবং মশার কামড় থেকে নিরাপদে থাকতে সরকারিভাবে দেড় কোটি বিশেষ মশারি বিনামূল্যে মানুষকে দেয়া হয়েছে। ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ ম্যালেরিয়া নিয়ে সতর্ক থাকতে ভালো প্রচারণা করা হয়েছে বলেই দেশে এ বছর ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু শূন্যে নেমে এসেছে।
জাহিদ মালেক বলেন, কয়েক বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বছরে ম্যালেরিয়া রোগী কমেছে ৭৮ শতাংশ এবং মৃত্যুহার হ্রাস পেয়েছে ৯১ শতাংশ। বর্তমান চিকিৎসা সেবা দেশের সর্বত্র পৌঁছে গেছে। মানুষ সঠিক সময়ে ভালো চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে বলেই ম্যালেরিয়া অনেক কমে গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বর্ধন জং রানা, সিডিসির পরিচালক নাজমুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।