Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 6:55 pm

১৯ মাস পর কভিডে এক দিনে একজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত বছর ৮ মার্চ দেশে প্রথম কভিডে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হন। ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে একজনের মৃত্যুর কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। ২৪ মার্চ আরও একজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। ১ ও ৫ এপ্রিলও একজন করে মারা যান। ৫ এপ্রিলের পর গত ১৯ মাসে কভিডে এক দিনে একজনের মৃত্যুর খবর আর আসেনি। এবার গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে একজনের মৃত্যু খবর এলো। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭ হাজার ৮৯১ জনে।

মৃত ব্যক্তিটি পুরুষ। ৭০ বছরের বেশি বয়সী ওই ব্যক্তি ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। এছাড়া বাকি সাত বিভাগে কেউ মারা যাননি।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারাদেশের কভিড ডেডিকেটেড ২১ হাজার ৮০০টি শয্যার মধ্যে ১৯ হাজার ৭৩০টি খালি পড়ে আছে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত কভিড পরিস্থিতি-সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আক্রান্ত রোগী হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৫৪ জন রোগী। এ নিয়ে নমুনা পরীক্ষায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি ৮৩৩টি ল্যাবরেটরিতে ১৩ হাজার ১৫৫ জনের নমুনা সংগ্রহ ও ১৩ হাজার ৭২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হয় ১৫৪ জন। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার এক দশমিক ১৮ শতাংশ।

এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট এক কোটি চার লাখ ৫৮ হাজার ৩৬৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। বিপরীতে শনাক্ত হয় ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৫ জন। শনাক্তের হার ১৫ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ১৫৭ জন। আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৬৩৫ জনে। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ।

গত শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক ‘কভিড-১৯ ডাইনামিক ফ্যাসিলিটি ড্যাশবোর্ড ফর বাংলাদেশ’ ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সারাদেশে কভিড ডেডিকেটেড মোট শয্যা রয়েছে ২১ হাজার ৮০০টি। এর মধ্যে দুই হাজার ৭০ রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রোগী না থাকায় ১৯ হাজার ৭৩০টি শয্যা খালি পড়ে আছে। সারাদেশে মোট হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার ব্যবস্থা রয়েছে দুই হাজার ৪৪৯টি শয্যায়। এর মধ্যে এক হাজার ৫৭টিতে রোগী থাকলেও বাকি এক হাজার ৩৯২টি খালি আছে। এছাড়া মোট ভ্যান্টিলেটর এক হাজার ৩৪২টি ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রয়েছে চার হাজার ৯০৩টি শয্যায়।

বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৯ হাজার ৩০৪টি কভিড ডেডিকেটেড শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি এক হাজার ২২৪টিতে। রোগী না থাকায় খালি পড়ে আছে আট হাজার ৮০টি শয্যা। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে এক হাজার ২৪০টি শয্যায়। এর মধ্যে ৩০৭টিতে রোগী থাকলেও বাকি ৯৩৩টি খালি পড়ে আছে।

চট্টগ্রাম বিভাগে তিন হাজার ৮২৯টি শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি আছে ৩১৫টিতে। রোগী না থাকায় খালি পড়ে আছে তিন হাজার ৫১৪টি শয্যা। এ বিভাগে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে ৪১৪টি। এর মধ্যে ২৪৪টিতে রোগী থাকলেও বাকি ১৭০টি খালি পড়ে আছে।

বরিশাল বিভাগে এক হাজার ১৬৪টি কভিড ডেডিকেটেড শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি ২৪টিতে। রোগী না থাকায় খালি পড়ে আছে এক হাজার ১৩৬টি শয্যা। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে ১০৪টি শয্যায়। এর মধ্যে ৮৯টিতে রোগী থাকলেও বাকি ১৫টি শয্যা খালি আছে।

খুলনা বিভাগে দুই হাজার ১৫৬টি কভিড ডেডিকেটেড শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি আছে ৯৭টিতে। রোগী না থাকায় খালি পড়ে আছে দুই হাজার ৫৯টি শয্যা। এ বিভাগে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে ২৭৫টি শয্যায়। এর মধ্যে ১৭৯টিতে রোগী থাকলেও বাকি ৯৬টি খালি আছে।

ময়মনসিংহ বিভাগে এক হাজার ৬০টি কভিড ডেডিকেটেড শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি আছে ৫২টিতে। রোগী না থাকায় খালি পড়ে আছে এক হাজার আটটি শয্যা। এ বিভাগে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে ৯৮টি শয্যায়। এর মধ্যে ১৮টিতে রোগী থাকলেও বাকি ৮০টি খালি আছে।

রাজশাহী বিভাগে এক হাজার ২১৭টি কভিড ডেডিকেটেড শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি আছে ৯৪টিতে। রোগী না থাকায় খালি পড়ে আছে এক হাজার ১২৩টি শয্যা। এ বিভাগে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে ১৬৬টি শয্যায়। এর মধ্যে ১৫৭টিতে রোগী থাকলেও বাকি ৯টি খালি আছে।

রংপুর বিভাগে এক হাজার ৪৯৭টি কভিড ডেডিকেটেড শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি আছে ৮৭টিতে। রোগী না থাকায় খালি আছে এক হাজার ৪১০টি শয্যা। এ বিভাগে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে ৯৫টি শয্যায়। এর মধ্যে ৫০টিতে রোগী থাকলেও বাকি ৪৫টি খালি আছে।

সিলেট বিভাগে এক হাজার ৫৭৩টি কভিড ডেডিকেটেড শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি আছে ১৭১টিতে। রোগী না থাকায় খালি আছে এক হাজার ৪০২টি শয্যা। এ বিভাগে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে ৫৭টি শয্যায়। এর মধ্যে ১৩টিতে রোগী থাকলেও বাকি ৪৪টি খালি আছে।