Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 4:16 am

২০১৫-১৬ অর্থবছর: ৯ পেট্রোলিয়াম পণ্যের বিক্রি কমছে

সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম: গত অর্থবছরে (২০১৫-১৬) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বিপণনকৃত ১৩ ধরনের জ্বালানির মধ্যে পেট্রল, কোরোসিন, ফার্নেস অয়েল, জেবিও, লুব অয়েল, এসবিপি, এমবিপি, এলপিজি, বিটুমিনের মোট বিক্রির পরিমাণ কমেছে। অপরদিকে ডিজেল, জেট এ-১, অকটেন, এলডিও বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এসব জ্বালানি দেশের কৃষি উৎপাদন, শিল্প প্রক্রিয়া, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন, গৃহস্থালির কাজ ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়। চলতি বছরও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

বিপিসি সূত্রে জানা যায়, গত অর্থবছরে মোট জ্বালানি তেলের চাহিদা ছিল ৫২ দশমিক ৫৬ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৩৬ দশমিক শূন্য ছয় লাখ টন ডিজেল, অকটেন এক দশমিক ৪৮ লাখ টন, পেট্রল এক দশমিক ৩৭ লাখ টন, কেরোসিন দুই দশমিক ১৪ লাখ টন, জেট ফুয়েল তিন দশমিক ৪৭ লাখ টন, ফার্নেস অয়েল সাত দশমিক ১২ লাখ টন ও অন্যান্য দশমিক ৯২ লাখ টন।

এদিকে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বিপিসি ডিজেল বিক্রি করে ৩৩ লাখ ৯৬ হাজার টন, ফার্নেস অয়েল ৯ লাখ ছয় হাজার টন, জেট এ-১ তিন লাখ ৩৮ হাজার টন, অকটেন এক লাখ ২৬ হাজার টন, পেট্রল এক লাখ ৬৬ হাজার টন, কোরোসিন দুই লাখ ৬৩ হাজার টন, জেবিও ১৮ হাজার টন, লুব অয়েল ১৭ হাজার টন, এসবিপি দুই হাজার টন, এলডিও দুই হাজার টন, এমবিপি সাত হাজার টন, এলপিজি ১৭ হাজার টন, বিটুমিন ৫৯ হাজার টন।

এ হিসাবে পেট্রল, কোরোসিন, ফার্নেস অয়েল, জেবিও, লুব অয়েল, এসবিপি, এমবিপি, এলপিজি, বিটুমিনসহ মোট ৯টি পেট্রোলিয়াম পণ্য বিক্রির পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় কমেছে এবং ডিজেল, জেট এ-১, অকটেন, এলডিও বিক্রির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় বেড়েছে।

বিপিসির মতে, গত কয়েক বছরে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে, শুল্কমুক্ত জ্বালানি তেল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলভিত্তিক বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকরা, দ্রুত শিল্পায়ন না হওয়ায় সনাতন জ্বালানির ব্যবহার কমেছে।

এ প্রসঙ্গে বিপিসির পরিচালক (বিপণন) মীর আলী রেজা শেয়ার বিজকে বলেন, ‘এখন বেসরকারিভাবে অনেক প্রতিষ্ঠান জ্বালানি তেল আমদানি করছে। পাশাপাশি বাজারের কিছু কিছু পণ্যের চাহিদাও আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। ফলে বিপিসির অধিকাংশ পেট্রোলিয়াম পণ্যের বিক্রি গত বছরের তুলনায় বিক্রি কমেছে। তবে আগামীতে বিক্রি বৃদ্ধি পাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারি উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। তবে বাজার অস্থির করে নয়। যত বেশি কোম্পানি থাকবে, তত বেশি বাজার নিয়ন্ত্রিত থাকবে।’

উল্লেখ্য, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জ্বালানি তেলের খাতভিত্তিক শতাংশ হারে ব্যবহৃত চিত্রে দেখা যায়, কৃষি খাতে ১৮ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ, শিল্প খাতে চার দশমিক ৮১ শতাংশ, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২২ দশমিক ৮৫ শতাংশ, পরিবহন খাতে ৪৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং গৃহস্থালি ও অন্যান্য খাতে চার দশমিক ৫৫ শতাংশ।