শেয়ার বিজ ডেস্ক: ২০১৭-১৮ মৌসুমে বিশ্বে চিনি উৎপাদন আগের মৌসুমের তুলনায় আট শতাংশ বাড়তে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোয় ও থাইল্যান্ডে উৎপাদন বৃদ্ধি এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে। বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান এগ্রিবিজনেস ইন্টেলিজেন্স বৃহস্পতিবার এ পূর্বাভাস দিয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০১৭-১৮ মৌসুমে বিশ্বে ১৯ কোটি ২০ লাখ টন চিনি উৎপাদন হবে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এটি আট শতাংশ বেশি। বিশেষ করে ইইউ দেশগুলোয় বাড়বে পণ্যটির উৎপাদন। এ মৌসুমে ইউরোপের দেশগুলোয় দুই কোটি টন চিনি উৎপাদন হতে পারে, আগের মৌসুমের তুলনায় যা প্রায় ৩০ লাখ টন বেশি। বাড়তি উৎপাদনের প্রভাবে দেশগুলো থেকে পণ্যটি রফতানিও হবে বেশি।
এদিকে থাইল্যান্ডেও এক কোটি ২০ লাখ টন চিনি উৎপাদন হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগের বছরের তুলনায় যা ১৭ লাখ টন বেশি।
চিনি উৎপাদনকারী দেশগুলোর তালিকায় ভারতের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। ২০১৭-১৮ বিপণন বর্ষে দেশটিতেও বাড়তি আখ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এরই জেরে এ সময় ভারতে চিনি উৎপাদন আগের বিপণন বর্ষের তুলনায় ২৪ শতাংশ বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসএমএ)।
গত অক্টোবর থেকে ২০১৭-১৮ বিপণন বর্ষের আওতায় চিনি উৎপাদন ও সংগ্রহ মৌসুম শুরু হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ মৌসুমে পণ্যটির উৎপাদন দাঁড়াতে পারে দুই কোটি ৫১ লাখ টনে, যা আগের বর্ষের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।
এদিকে আগামী মৌসুমে বিশ্বে বাড়তি উৎপাদন সত্ত্বেও চিনির মজুদ কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ। মজুদ হ্রাসের জন্য চীন ও মেক্সিকোকে দায়ী করছে সংস্থাটি। ইউএসডিএ বলছে, আগামী মৌসুমে দেশ দুটি চিনির মজুদ কমাতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
ইউএসডিএর পূর্বাভাস প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭-১৮ মৌসুমে বিশ্বে তিন কোটি ৮৩ লাখ টন চিনি মজুদ হিসেবে থাকতে পারে, যা চলতি মৌসুমের তুলনায় ছয় লাখ টন কম। পূর্বাভাস সত্যি হলে, বিশ্বে নিত্যপণ্যটির মজুদ ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিন্মে চলে আসবে।