নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) বহরের নতুন ছয়টি জাহাজ যুক্ত হওয়ায় গত (২০১৯-২০) অর্থবছরে কর সমন্বয়ের পর নিট মুনাফা করেছে ৪১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা; যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ২৪ কোটি টাকা বেশি। আর শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করা হয়েছে।
৪৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে গতকাল বিএসসি ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর সুমন মাহমুদ সাব্বির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসসির পরিচালক শফিউল আলম, ড. পীষূয দত্ত, প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউসুফ, সচিব খালেদ মাহমুদ, মহাব্যবস্থাপক আশরাফুল আমিন প্রমুখ।
নতুন জাহাজ সংগ্রহের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলেÑতিনি বলেন, এ বছরে আরও ছয়টি নতুন জাহাজ সংগ্রহে চুক্তি হবে। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। এছাড়া চট্টগ্রাম- শ্রীলংকা-চট্টগ্রাম রুটে ফিডার ভেসেল চালু করার জন্য কাজ করছি।
এ সময়ে তিনি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আমদানি কাজে বিএসসি’র জাহাজ ভাড়া নেয়াকে অসহযোগিতা উল্লেখ করে বলেন, বিএসসি’র মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি সরকারি সংস্থা কমপক্ষে ৪০টি জাহাজ থাকা উচিত। কিন্তু বিনিয়োগ ও অর্থ সংকট থাকার কারণে সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে একদিকে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে এবং রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিএসসির উন্নতি ব্যাহত হচ্ছে। ওই আইনের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিএসসি ভবিষ্যতে লাভজনক ও ঝুঁকিমুক্তভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে অধিক লাভজনক সংস্থায় পরিণত হবে। এক্ষেত্রে আমাদের বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি হবে।
কমডোর সুমন মাহমুদ সাব্বির বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিএসসির মোট আয় ৩২২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে পরিচালনা আয় হয়েছে ২৭৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আয় হয়েছে ৪২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। অন্যদিকে মোট ব্যয় হয়েছে ২৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে পরিচালনা ব্যয় হয়েছে ১৭৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, প্রশাসনিক ও আর্থিক খাতের ব্যয় ৬৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
একই সময়ে কর সমন্বয়ের পর নিট মুনাফা করেছে ৪১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা; যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ২৪ কোটি টাকা বেশি। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় মুনাফা বেড়েছে ২৩৭ শতাংশ। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট আয় ছিল ২২২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, ব্যয় ১৮৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। নিট মুনাফা ছিল ১৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বিএসসি ভালো করেছে। ফলে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করা হয়েছে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর ৪৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে।
