নিজস্ব প্রতিবেদক: রফতানিকারকদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি ফরম ছিল, যা এতই জটিল ছিল যে কেউ আর তা পূরণ করতেন না। কয়েক মাস আগে সেই ফরমে পরিবর্তন আনার পর ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আগামী ২০২১ সাল নাগাদ আমরা পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয় করতে চাই।
বৃহস্পতিবার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তথ্য ও যোগাগোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা জানান। ফরম পরিবর্তনের পর অতিরিক্ত ৫০ মিলিয়ন ডলার লিগ্যাল চ্যানেলে এসেছে বলে দেখা যাচ্ছে। এক্সপোর্ট বাড়ানো এবং যা এক্সপোর্ট হচ্ছে তার প্রতিফলন যেন পাওয়া যায়, তা নিয়ে কাজ চলছে। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রফতানি আয় ৮০ কোটি ডলারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলেও তিনি জানান।
‘আমদানিকারকের’ তকমা মুছে বাংলাদেশকে ‘রফতানিকারক দেশ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সরকার কাজ করছে, হার্ডওয়্যার সংযোজন ও উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ও কাঁচামালে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে এক শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
পলক বলেন, ‘২০০৯ সালে যখন শেখ হাসিনার সরকার যাত্রা শুরু করে, তখন আইটি এক্সপোর্ট ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৮০০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংক, বেসিস, বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং আউট সোর্সিংয়ে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে এ তথ্য পাওয়ার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আপনারা বুঝতে পারছেন, আমাদের এক্সপোর্ট গ্রোথ কত দ্রæত হতে যাচ্ছে। কী ধরনের নীতি সহায়তা দিলে এ সেক্টরে এক্সপোর্ট আরও উৎসাহিত হবে, তা বুঝতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের সঙ্গে আমরা নিয়মিত বসছি।’
এ খাত থেকে দেশে তৈরি সফটওয়্যারসহ বিভিন্ন পণ্য ও সেবা যে পরিমাণে রফতানি হচ্ছে, তার প্রতিফলন রফতানিবিষয়ক প্রতিবেদনগুলোতে ঠিকভাবে আসছে না মন্তব্য করে পলক বলেন, এর কারণ খোঁজার চেষ্টা করছে মন্ত্রণালয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।