নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশে একযোগে আজ চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ পরীক্ষায় মোট ১২ লাখ তিন হাজার ৪০৭ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ছাত্র ছয় লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ এবং ছাত্রী পাঁচ লাখ ৮০ হাজার ৬১১। মোট ৯ হাজার ১৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসব পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে। এ বছর মোট দুই হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার দুই হাজার ৬৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে মোট ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৩ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র পাঁচ লাখ ৮২ হাজার ১৮৩ এবং ছাত্রী পাঁচ লাখ তিন হাজার ৫৩০। মোট এক হাজার ৫২৮টি কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় মোট ৯৪ হাজার ৭৬৩ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র ৫১ হাজার ৬৯৫ এবং ছাত্রী ৪৩ হাজার ৬৮। মোট দুই হাজার ৬৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষার্থীরা অংশ নেবে। এবার আলিম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে মোট ৪৪৮টি কেন্দ্রে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় মোট অংশ নেবে এক লাখ ২২ হাজার ৯৩১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৮৮ হাজার ৯১৮ এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ১৩। মোট এক হাজার ৮৫৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেবে। এবার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ৬৭৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোয় তত্ত্বীয় পরীক্ষা আগামী ১৩ ডিসেম্বরে শেষ হবে। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২২ ডিসেম্বর শেষ হবে। পরীক্ষা শেষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে।
গত ১৯ অক্টোবর পরীক্ষা-সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ প্রভৃতি একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিটি আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা যায় না, এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের অনুরোধ করা হয়েছে।
পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য ৩ নভেম্বর থেকে আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।