Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 7:39 pm

২০২৩ সালের এসএসসি এপ্রিলে, জুনে এইচএসসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছরের মতো সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী বছরের এপ্রিল মাসে এবং জুন মাসে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।  ২০২৩ সালের এ দুই পাবলিক পরীক্ষা সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে আয়োজন করা হবে।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে তা সম্ভব হয়নি। সেটার সবাইকে অটোপাস দেওয়া হয়।

দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গত বছর এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হয় নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৯ মাস পর নভেম্বরের মাঝামাঝি আর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হয় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে।

শুধু গ্রুপভিত্তিক (বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্যসহ অন্যান্য গ্রুপ) তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে সময় ও নম্বর কমিয়ে পরীক্ষা হয়েছে। চতুর্থ বিষয়েরও পরীক্ষা নেয়া হয়নি। শুধু সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে আবশ্যিক বিষয় এবং চতুর্থ বিষয়ের নম্বর ফলে যোগ করা হয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন,  করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় গত ১৫ মার্চ থেকে শিক্ষার্থীরা সশরীরে সপ্তাহে ছয়দিন করে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত যদি পুরোদমে ক্লাস চালু রাখা যায়, তাহলে শিক্ষার্থীরা নবম ও দশম শ্রেণিতে সর্বমোট ১৬২ কর্মদিবস শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্বাভাবিক অবস্থায় এই দুটো শ্রেণি মিলিয়ে ৩১৬টি ক্লাস হওয়ার কথা। সর্বোপরি তারা ২০২০ সালের জেএসসি ও জেডিসি এবং নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারেনি। তবে তাদের অনেকেই অনলাইন ক্লাস ও অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। এসব ক্লাস এবং অ্যাসাইনমেন্টগুলো ২০২২ সালের পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৫০ কর্মদিবসের পরিমার্জিত সিলেবাস অনুসারেই পরিচালিত হয়েছে। এসব বিবেচনায় ২০২৩ সালের এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা ২০২২ সালের পরীক্ষার জন্য ঘোষিত যে পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস, সে অনুসারেই হবে ।

দীপু মনি বলেন, ২০২৩ সালের এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ক্লাস করার কথা ছিল। কিন্তু তারা ক্লাস শুরু করতে পেরেছে ২০২২ সালের ২ মার্চ থেকে। অর্থাৎ তারা ৮ মাস ক্লাস করার সুযোগ পায়নি। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকলে তারা সর্বমোট ২০০ কর্মদিবস শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে। স্বাভাবিক অবস্থায় তারা ৩৩০ কর্মদিবস শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারত। তারা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ২০২১ সালের এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এমতাবস্থায় ২০২৩ সালের এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষা ২০২২ সালের পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ১৮০ কর্মদিবসের যে পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি, সেই অনুসারেই হবে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, ২০২৩ সালের এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত চলবে। ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসিতে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে, পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা নাও হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন শিক্ষামন্ত্রী।

দীপু মনি বলেন, ‘এখন যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে আলাদা করে বোধ হয় জেএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ থাকছে না। মনে হয় না জেএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে অন্য শ্রেণির মতো অষ্টম শ্রেণিতেও শ্রেণি মূল্যায়ন হবে।’