নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘২০২৩ সালের মধ্যেই রাজধানীর অভিজাত এলাকার বাসিন্দাদের নিজস্ব উদ্যোগে বাসাবাড়িতে কার্যকর পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে। ২০২২ সালের মধ্যে এ বিষয়ে আমরা জনসচেতনতা সৃষ্টি করব। লেক-খাল দূষিত, বৃষ্টির পানি নামার সাধারণ নর্দমা দিয়ে মানুষের পয়োবর্জ্য খালে-লেকে গিয়ে পতিত হয়। এটা রাজধানীবাসীর জন্য বিরাট স্বাস্থ্যঝুঁকি। এটা আর চলতে দেয়া যায় না।’
গতকাল রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে মেয়র এ কথা বলেন। দুদিনব্যাপী চলমান ‘নিরাপদ পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় শেষ দিনে সভাপতির বক্তব্য দেন।
এ সময় মেয়র আতিক হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের পর খালে বা সার্ফেস ড্রেনে পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের সংযোগ পাওয়া গেলে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তা বন্ধ করে দেয়া হবে।’
মেয়র বলেন, ‘ডিএনসিসি আওতাধীন খালগুলোকে ২০২৪ সালের মধ্যে দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক খালে রূপান্তর করা হবে। এটি করতে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা। জনসচেতনতা তৈরি করে এটি করতে হবে। লেক-খালগুলোকে আমরা রোগ জীবাণু ছড়ানোর কারখানায় পরিণত করতে পারি না।’
প্রাণের শহর ঢাকার খালগুলো ডাস্টবিন বানানো যাবে নাÑমন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিগত সময় আমরা জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে খালে পাওয়া বাসাবাড়ির পরিত্যক্ত বর্জ্যরে প্রদর্শনী করেছি। আমরা এর পুনরাবৃত্তি চাই না।’
মেয়র আরও বলেন, ‘পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সংযুক্ত করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ সমস্যা সমাধান সম্ভব।’
কর্মশালায় ১৫টি প্রতিষ্ঠান তাদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া প্রদর্শনী করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিএনসিসি মেয়র প্রধান অতিথিকে নিয়ে স্টল পরিদর্শন করেন এবং স্টল পরিদর্শন শেষে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন।
মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় আরও অংশ নেনÑপরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, ইউনিসেফের ওয়াশ বিভাগের প্রধান জাইদ জুরজি, রাজউকের চেয়ারম্যান এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী সেলিম রেজাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কাউন্সিলররা।