নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৩-২৪ অর্থবছর ‘প্রত্যক্ষ কর ব্যয়’-এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪৮ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা। মোট জিডিপির আকার বিবেচনায় নিয়ে এই অর্থবছর প্রত্যক্ষ কর ব্যয় হিসাব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। জাতীয় সংসদে গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন, যাতে এই হিসাব তুলে ধরা হয়। প্রত্যক্ষ কর ব্যয় বলতে রেয়াত, ছাড়, অব্যাহতি, হ্রাসকৃত হারে করারোপ ও মোট করযোগ্য আয় পরিগণনা থেকে আয় বাদ দেয়াকে বোঝানো হয়। এককথায় কর অব্যাহতি বা করছাড় বোঝানো হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যক্ষ কর ব্যয় এক ধরনের কর ভর্তুকি। অর্থাৎ এই ভর্তুকি যদি কর হিসাবে আহরিত হতো তাহলে মোট আহরিত করের সঙ্গে এটি যুক্ত হতো এবং করের পরিমাণ বৃদ্ধি হতো। সরকারের অন্যান্য ভর্তুকির সঙ্গে কর ব্যয়ও মোট ভর্তুকির অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে প্রত্যক্ষ করব্যয়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রণোদনা, সামাজিক সাম্যাবস্থা ও শিল্প সহায়তার সঙ্গে সঙ্গে সামগ্রিক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়।’
আরও বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার সঙ্গে সংগতি রেখে এনবিআরের আয়কর বিভাগ গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মাঠ পর্যায়ের বাস্তব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণপূর্বক ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রত্যক্ষ কর ব্যয় প্রাক্কলন করেছে, যা আয়কর বিভাগের সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্জনকৃত। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রত্যক্ষ কর ব্যয়ের মোট প্রাক্কলিত পরিমাণ ছিল এক লাখ ২৫ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের জন্য প্রত্যক্ষ কর ব্যয় প্রাক্কলিত হয়েছে এক লাখ ১৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে কোম্পানি পর্যায়ে ৭১ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা এবং স্বাভাবিক ব্যক্তি পর্যায়ে ৪৩ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা। সামগ্রিকভাবে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য এই প্রত্যক্ষ কর ব্যয় মোট জিডিপির ২ দশমিক ৯১ শতাংশ, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের জন্য ছিল ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর ২০২৩-২৪-এর সাময়িক মোট জিডিপি আকার বিবেচনায় নিয়ে ওই অর্থবছরে প্রক্ষেপিত প্রত্যক্ষ কর ব্যয়ের মোট পরিমাণ হবে এক লাখ ৪৬ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা।’