শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মুদ্রার মধ্যে চলতি বছরে ডলার শক্তিশালী থাকবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বিদেশি মুদ্রা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সম্প্রতি যে জরিপ করেছে, তাতে জানা গেছে, চলতি বছর ডলারের শক্তি কমবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এখনও শক্তিশালী, নীতি সুদহার বৃদ্ধির কারণে ট্রেজারি বন্ডের সুদহারও বাড়তি। উন্নত দেশগুলোর মধ্যে যা সর্বোচ্চ। এ কারণে নানা ঘাত-প্রতিঘাত সত্ত্বেও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাগুলোর মধ্যে ডলার এখনও শক্তিশালী।
চীনের অবস্থা ভালো নয়, দেশটির প্রবৃদ্ধির হার কমছে। এতে বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে ডলারে বিনিয়োগ করছেন। চলতি বছরের জুনে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দর ২০২০ সালের পর সবচেয়ে নিচে নেমে যায়। এরপর ডলারের দর বেড়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডলারের দর বেড়েছে ১ শতাংশ।
রয়টার্সের জরিপে অংশ নেয়া সিংহভাগ বিশ্লেষক মনে করছেন, ডলারের দর আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কমবে না। ৮১ শতাংশ বিশ্লেষক বা ৫৩ জনের মধ্যে ৪৩ জনই বলেছেন, ডলারের দর বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাবো ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রাবিষয়ক বিশ্লেষক জেন ফোলি বলেন, আমরা মনে করি, ডলারের দর আরও বাড়বে এবং আগামী তিন মাস এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, আগামী ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ বা ফেডনীতি সুদহার কমাতে শুরু করবে এবং তখন ডলারের বিনিময় হার আবার কমবে।
জরিপে অংশ নেয়া বিশ্লেষকদের ভবিষ্যদ্বাণী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ইউরোর দর বেড়েছে মাত্র শূন্য
দশমিক ১৩ শতাংশ। তাদের পূর্বাভাস, আগামী তিন মাসে ডলারের বিপরীতে ইউরোর দর ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশে
উঠবে। যদিও আগের পূর্বাভাস অনুযায়ী ইউরোর দর আগামী ছয় মাসে ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১ দশমিক ১০ ডলার এবং আগামী এক বছরে তা ১ দশমিক ১২ ডলারে উঠবে।
জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দাম চলতি বছর ইতোমধ্যে ২ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ডলারের বিপরীতে ১৪৭ ইয়েনে নেমেছে। তবে আগামী এক বছরে ইয়েনের দর বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ডলারে বিপরীতে জাপানি মুদ্রার দাম ১৩২ ইয়েনে উঠে আসতে পারে।