শেয়ার বিজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে মন্দার কবলে পড়তে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই মন্দার প্রভাবে ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলক কম হবে। খবর: দ্য ইকোনমিস্ট।
বিশ্ব অর্থনীতি, সম্পদের বাজার ও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি সবই ভঙ্গুর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাই এই মন্দা অপ্রত্যাশিত পরিণতিও ডেকে আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালে দেশটির অর্থনীতি কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যায়। এর প্রায় ১০ বছর পর ২০২০ সালে কভিড-১৯ মহামারির কারণে দেশটিতে অর্থনৈতিক স্থবিরতা দেখা দেয়।
বর্তমানে দেশটিতে খাদ্য ও পেট্রলের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। গত এপ্রিলে ভোগ্যপণ্যের দাম এক বছরের আগের তুলনায় ৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি ছিল। এমনকি খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাদে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৬ দশমিক ২ শতাংশে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাব এবং চীনের শূন্য কভিড নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রেও সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ বা ফেডের কঠোর নীতির কারণে ১৯৯৪ সালের পর ডলারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, যার প্রভাব দেখা যাচ্ছে। তবে গত শতাব্দীর আশির দশকে যে দুর্দশার মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র হয়েছিল, এবার তেমন আশঙ্কা নেই। তখন সাড়ে ছয় বছর ধরে মুদ্রাস্ফীতি পাঁচ শতাংশের ওপর ছিল এবং এর হার প্রায় ২০ শতাংশে উন্নীত করতে হয়েছিল। ফলে তখন প্রায় ১১ শতাংশ বেকারত্ব বাড়ে। এখন মূল্যস্ফীতি এক বছরের বেশি সময় ধরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে একটু বেশি।
২০২৪ সালের শেষের দিকে মন্দা দেখা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে, যা আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকেও প্রভাবিত করবে। যদি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি পরের বছর বা দুই বছরে সংকুচিত হয়, তবে এটি দেশের দীর্ঘমেয়াদিভাবে দিক পরিবর্তন করতে পারে। এমনকি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার নির্বাচিত হতে পারেন।