শেয়ার বিজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের মধ্যে সব পরমাণু চুল্লি বন্ধ করবে বেলজিয়াম। দেশটির নতুন জোট সরকার এ বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। তবে নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না বলে জানিয়েছে নতুন সরকার। খবর: ডয়েচে ভেলে।
গত ২২ ডিসেম্বর দীর্ঘ আলোচনার পর বেলজিয়ামে জোট সরকারের সব শরিক ঐকমত্যে পৌঁছাতে সমর্থ হয়। ২০০৩ সাল থেকে ধীরে ধীরে পারমাণবিক শক্তির ওপর নির্ভরতা কমানোর জন্য আইন পাস করে বেলজিয়াম।
গত বছর অক্টোবরে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় বসে। তখন ২০২৫ সালের মধ্যে পারমাণবিক শক্তির ওপর নির্ভরতা শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তারা। কিন্তু তখন জোট সরকারের মধ্যে দ্বিমত তৈরি হয়। সেই অবস্থা থেকে অবেশেষে বেরিয়ে আসল দেশটি।
বেলজিয়ামের বর্তমান সরকারে রয়েছে সাতটি দল। এ জোটের অন্যতম শরিক গ্রিন পার্টি। এ দল থেকে নির্বাচিত জ্বালানিমন্ত্রী পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিবেচনায় পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের বিরোধী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর লিবারেল পার্টি পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধের বিপক্ষে।
অবশেষে দীর্ঘ আলোচনায় জোট সরকারের সব শরিক শেষ পর্যন্ত ২০২৫ সালের মধ্যে পারমাণবিক চুল্লিগুলো বন্ধে একমত হলো। তবে সেই সঙ্গে নবায়নযোগ্য ও কার্বন নিরপেক্ষ জ্বালানি ব্যবহারের জন্য অর্থ বরাদ্দের পক্ষে মত দেয়া হয়। পারমাণবিক চুল্লি বন্ধ করলেও নতুন-প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহার করবে বেলজিয়াম।
বেলজিয়ামে বর্তমানে সাতটি পারমাণবিক চুল্লি রয়েছে। এদিকে জোটের আরেকটি শরিক এ সাতটির মধ্যে দুটি নতুন পারমাণবিক চুল্লি চালু রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। এ দুই চুল্লি নির্মাণে সহায়তা করে ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান ইঞ্জি।
বেলজিয়ামে প্রতিবেশি জার্মানি আগামী বছরের মধ্যে সব পরমাণু চুল্লি বন্ধ করে দেবে। এজন্য ২০১১ সালে তাদের একটি চুক্তিতে পৌঁছায়। তখন জাপানের ফুকুশিমায় পারমাণবিক বিস্ফোরণের পর এমন সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি।