২০৩০ সালে মাথাপিছু আয় হবে চার হাজার ডলার: পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, করোনাকালীন সময়ে আমরা কিছু সেক্টরে লকডাউন দিয়েছি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু সেক্টর খোলা রেখেছি। এতে করে আমাদের ব্যবসায়ীক পরিবেশটা বজায় ছিল। যা অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় আড়াই হাজার ডলার। ২০৩০ সালের মধ্যে এই আয় দাঁড়াবে চার হাজার ডলারে।

সোমবার (২২ নভেম্বর)রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত জাতীয় সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষকে সম্পূর্ণভাবে সাফল্যমণ্ডিত করতে চাই; কোনো একটি নির্দিষ্ট দিক থেকে নয়। সরকারের উন্নয়নের ধারায় ইউনিয়ন পর্যায়ও এখন অনেক উন্নত। সেখানেও এখন ডিজিটালি কাজ চলছে। দেশের কোনো মানুষই বর্তমানে আর না খেয়ে থাকে না। এই ধারাবাহিকতায় আমরা স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে করোনার মধ্যেও অনেক ভালোভাবে অর্থনীতি সচল রাখতে পেরেছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, কিছু জায়গায় মিস ইউজ যে হচ্ছে না তা কিন্তু নয়। কেন্দ্র থেকে ১০০ টাকা বরাদ্দ হলে তা ঠিকাদারের মাধ্যমে সাব-ঠিকাদারের হাতে যায়। সাব-ঠিকাদার আবার তার সাব-ঠিকাদারের হাতে দেয়। এভাবে নানা হাত বদলের মাধ্যমে ১০০ টাকা বরাদ্দ দিলে গ্রামে ১০ টাকা পৌঁছায়। তবে সরকার এই বলয় ভেঙে ফেলতে নানাভাবে কাজ করছে।

সংলাপে বিএনপি নেতা ড. আব্দুল মঈন খানকে উদ্দেশ্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, হেলিকপ্টারে চড়ে গ্রামের বাড়িতে যান। দেখতে পাবেন গ্রামে খড় ও ছনের বাড়ি নেই। বর্তমান সরকার সবার জন্য উন্নয়ন করছে।

সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের চেয়ারম্যান ড. মানজুর আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংলাপে অংশ নেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা ড. আব্দুল মঈন খান প্রমুখ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০