২০৫০ সালে জলবায়ু অভিযোজন বাস্তবায়িত না হলে ক্ষতি হবে জিডিপির ৯%

নিজস্ব প্রতিবেদক: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিপূর্ণ শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সপ্তম। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় জলবায়ু অভিযোজনের পরিকল্পনা করেছে। ২০৫০ সাল নাগাদ এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ২৩০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। ২০৫০ সাল নাগাদ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত না হলে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জিডিপির ৯ শতাংশ ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কল্যাণপুরে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘জলবায়ু ঝুঁকি নিরসন এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফায়জুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য মালিক ফিদা এ খান।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ এবং ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত। আলোচক হিসেবে ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক। আরও বক্তব্য দেন সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেইঞ্জ জার্নালিস্ট’স ফোরামের মহাসচিব আসাদুজ্জামান সম্রাট, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী। এ সেমিনারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়াধীন দপ্তরগুলো, বিভিন্ন বেসরকারি গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা এবং বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পরিচালক (প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান) ড. মো. মারুফ নাওয়াজ। সেমিনার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এ প্রতিষ্ঠানের উপ-পরিচালক (সংযুক্ত) তানিয়া খান।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয় একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। এ প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিরসনে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ইনডেক্স অনুযায়ী, বিশ্বের ১৯২টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় একটি বলিষ্ঠ অভিযোজন পরিকাঠামো গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি অভিজ্ঞতা বিনিময়, জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং ন্যাপ সম্পর্কে জনগণের ভূমিকা সম্পর্কে জানাতে সাংবাদিকদের সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত তার আলোচনায় বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন পরিকল্পনার বাস্তবায়নে সংবাদমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ লক্ষ্যে সমন্বিত পানিসম্পদ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি থেকে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রভৃতি বিষয়ের তথ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বলেন, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এর সঙ্গে গণমাধ্যম আরও সক্রিয়ভাবে যুক্ত হলে বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবিলায় আরও সাফল্য অর্জন করতে পারবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০