আলজেরিয়া থেকে রহমত রহমান: ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) চাহিদা ৩৪ শতাংশ বাড়বে। যা বর্তমানে ২৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্যাস রপ্তানিকারকদের জোট গ্যাস এক্সপোর্টিং কান্ট্রিস ফোরামের (জিইসিএফ) প্রকাশিথ ‘গ্লোবাল গ্যাস আউটলুক’ রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) আলজেরিয়ার রাজধানীর আবদুল লতিফ রাহাল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে (সিআইসি) অনুষ্ঠিত জিইসিএফ সামিটের দ্বিতীয় দিন এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। জিইসিএফ এর মহাসচিব মোহাম্মদ হামেল সামিটে রিপোর্টের এই তথ্য তুলে ধরেন। সভায় জিইসিএফ সদস্য ও পযবেক্ষক দেশগুলোর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। মন্ত্রী জিইসিএফ জোটে সদস্যভুক্ত হওয়ায় মরিতানিয়া ও সেনেগালকে স্বাগত জানিয়েছেন।
সভায় ‘ডিক্লারেশন অব আলজিয়ার্স’ চূড়ান্ত করা হয়, যা সামিটের শেষ দিন শনিবার প্রকাশ করা হবে। শনিবার অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করবেন আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেল মাজিদ তাবানি। অনুষ্ঠানে সদস্যভুক্ত ও পযবেক্ষক কয়েকটি দেশের প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্ববাজারে এলএনজি সরবরাহ বড় ধরনের সংকটের মুখে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে এশিয়ার স্পট মার্কেটে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে জ্বালানিটির দাম। তবে ২০২৩ সালে সরবরাহ সংকট থেকে অনেকটাই শিথিল হয়। গড় দাম নেমে আসে এমএমবিটিইউপ্রতি ১৮ ডলারে। নিম্নমুখী দাম চীন থেকে শুরু করে বাংলাদেশ পর্যন্ত বেশির ভাগ আমদানিকারক দেশকে কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরবরাহ বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করছে।