২০ রমজানের মধ্যে বেতন-বোনাস ও বকেয়া পরিশোধের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০ রমজানের মধ্যে গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন, বেসিকের সমপরিমাণ বোনাস ও ওভারটাইমসহ সব বকেয়া পরিশোধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি। পাশাপাশি শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।

গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, এবারও ঈদের আগে বেতন-বোনাস পরিশোধ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। এরই মধ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, ৪১৬ কারখানায় শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে সমস্যা হতে পারে। এ খবরে সাধারণ শ্রমিকরা অনিশ্চয়তা ও শঙ্কায় আছে। ঈদের সময় বেতন-বোনাসের প্রশ্ন এলেই মালিকরা কাজ নেই বলেন। অথচ সরকারি ইপিবি তথ্যানুযায়ী, চলতি ফেব্রুয়ারিতে এক মাসেই ৪৪৯ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত। গত বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে।

তারা আরও বলেন, সরকারি তথ্য অনুযায়ী গত বছরের চেয়ে এ বছর রপ্তানির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে রপ্তানি বেড়েছে, তা মালিকরাই বলছেন। অথচ শ্রমিকদের বোনাস-বেতন দেয়ার কথা এলে মালিকরা নানা বাহানায় সরকারের কাছে ঋণ নেন, বেতন-বোনাস নিশ্চিত করেন না। তাই ২০ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন এবং বেসিকের সমান মজুরি, ওভারটাইমসহ সব পাওনা পরিশোধের দাবি জানান শ্রমিক নেতারা।

তারা বলেন, ঈদে শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে যাতে ভালো সময় কাটাতে পারে, সে বিষয়ে সরকার ও মালিককে উদ্যোগী ভূমিকা রাখতে হবে। ঈদ বা যে কোনো উৎসব যথাযথভাবে পালন করতে পারা তাদের অধিকার। শ্রমিকের কাঁধে ভর করে পোশাকশিল্প ও বাংলাদেশের অর্থনীতি টিকে আছে, সেই শ্রমিকের জীবনে ঈদে পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ করারও সুযোগ থাকে না। সারাবছর কাজ করিয়ে ঈদ এলেই মালিকদের টালবাহানা শুরু হয়। মালিকরা অর্ডার কম বলে অজুহাত দেন। কিন্তু বাস্তবে সরকারি তথ্যসহ প্রতিটি কারখানায় যে মাত্রাতিরিক্ত ওভার টাইম করানো হচ্ছে, তা থেকেও বোঝা যায় মালিকদের অর্ডারের অভাব নেই।

বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপ্রধান অঞ্জন দাস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীর সাহা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক মাহবুব ইরান, কেন্দ্রীয় নেতা শামীম আহমেদ ও হযরত বিল্লাল।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে আবার প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০