নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন ভ্যাট আইন স্থগিত হওয়ায় ভ্যাট উপখাত থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিকল্প কোনো কৌশল এখনও নির্ধারণ করতে পারেননি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ঢালাওভাবে সব খাত থেকে ন্যূনতম ১৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় বাবদ সরকারের রাজস্ব আয় ধরা হয়েছিল প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এ অবস্থায় রাজস্ব ঘাটতির এই ২০ হাজার কোটি টাকা জোগাড় করা ‘খুবই জটিল সমস্যা’ (ভেরি ক্রিটিক্যাল প্রবলেম) বলে মনে করছেন মুহিত।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে ‘সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন ভ্যাট আইনের অধীনে ভ্যাট খাতে অতিরিক্ত ২০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। এখন এই ২০ হাজার কোটি টাকা আদায় হবে না, অর্থাৎ কম হবে। হাউ টু মিট ইজ এ ভেরি ক্রিটিক্যাল প্রবলেম। সুতরাং এখনই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করতে হবে। তারপর দেখব কোথায় কী করতে হবে। তবে ভ্যাট আইন কার্যকর স্থগিত করলেও ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প কিন্তু শুরু হয়ে গেছে।’
‘১৯৯১ সালের ভ্যাট আইন এখন আর চলছে না’Ñএমন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘২০১২ সালের আইনই সংশোধন করে চলছে, প্রতিবছরই সংশোধন করি।’
‘ভ্যাট আইন স্থগিত হওয়ায় রাজস্ব ঘাটতি পূরণের বিকল্প পরিকল্পনা সংসদে পাস করতে হবে কি না’Ñএমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘না, এটা নাও লাগতে পারে। এ বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসবো।’
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, ‘বাজেটে আমি ফাইনাল যে স্টেটমেন্ট দিয়েছিলাম, সেখানে মাই ফার্স্ট সেনটেন্স ইজ রাইট, সেকেন্ড সেনটেন্সে একটা ভুল হয়েছে। বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয় দেখছে। বৃহস্পতিবার তারা এ বিষয়ে আমাকে পরামর্শ দেবে, তখন বুঝব এটা সংসদে তোলা দরকার কি না। আর সংসদে তোলা না হলেও এই অধিবেশন শেষ হওয়ার আগে আমি বিষয়টি সেখানে জানিয়ে দেবো।’
Add Comment