শেয়ার বিজ ডেস্ক:পাকিস্তানসহ আরও ২১টি দেশে আগামী ছয় মাসে খাদ্য সংকট বাড়বে বলে জানিয়েছে রোমভিত্তিক জাতিসংঘের দুই অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। খবর: জিও নিউজ।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আহ্বান জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবনযাত্রা বাঁচাতে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। চলতি বছরের জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চলমান এ সংকট আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাগুলো।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা না এলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হবে। ২০২২ সালের বন্যার পর অর্থনীতিতে যে বড় ধাক্কা লেগেছে, সেটি আরও তীব্র হবে।
‘হাঙ্গার হটস্পট: ডব্লিউএফপি-এএফএও তীব্র খাদ্য সংকটের পূর্ব সতর্কতা’ শিরোনামের এ প্রতিবেদনে সংস্থা দুটি খাদ্য সংকটের ঝুঁকি বাড়বে, এমন ১৮টি হটস্পট চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান ও ইয়েমেনকে সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অপরদিকে নতুন সতর্কবার্তায় হাইতি, দ্য সাহেল (বুরকিনা ফাসো ও মালি) এবং সুদানকে সর্বোচ্চ উদ্বেগের পর্যায়ে রাখা হয়েছে।
এই তালিকায় আরও রয়েছে পাকিস্তান, মধ্য আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া, কেনিয়া, কঙ্গো, সিরিয়া ও মিয়ানমার। হাঙ্গার হটস্পটের তালিকায় রয়েছে লেবানন, এল সালভাদর, নিকারুগুয়া, গুয়েতেমালা ও হন্ডুরাস।
এফএও’র মহাসচিব কিউ ডয়ুং এক বিবৃতিতে বলেন, সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কেউ যেন বাদ না পড়ে, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষুধা দূর করার জন্য কৃষি খাতে নজর দিতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি সমাধান বের করতে হবে, যাবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
ডব্লিউএফপি’র নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের অনেক মানুষ যে শুধু তীব্র সংকটে রয়েছেন তা নয়, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে খাদ্য সংকট বেড়েছে। এই প্রতিবেদনে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। জীবন বাঁচাতে আমাদের এখনই কাজে নামতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে মানুষকে সহায়তা করতে হবে এবং সর্বোপরি দুর্ভিক্ষ থেকে তাদের রক্ষা করতে হবে। অন্যথায় বিপর্যয় নেমে আসবে।