নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজান মাসে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস পেয়েছেন দেশের পাঁচ লাখ ৯১ হাজার ৯৭১ মানুষ। ২৭ রমজান (৭ এপ্রিল) পর্যন্ত ২২ কোটি ৩৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকার এসব পণ্য বিক্রি করেছে সরকার।
গতকাল সোমবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে আরও জানানো হয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ঢাকাসহ ৩৫টি জেলায় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের আওতায় উদ্বোধনের দিন থেকে ২৭ রমজান পর্যন্ত মোট পাঁচ লাখ ৯১ হাজার ৯৭১ জন দুধ, ডিম ও মাংস কিনেছেন।
প্রথমে রাজধানীতে এ কার্যক্রম শুরু হলেও পরে ঢাকাসহ ৩৫টি জেলায় এসব ভোগ্যপণ্য বিক্রি করা হয়। জেলাগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী (সেনবাগ), ফেনী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, বান্দরবান, রাঙামাটি, রাজশাহী, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, জয়পুরহাট, নাটোর, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বাগেরহাট, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, পটুয়াখালী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা, রংপুর, মৌলভীবাজার ও নওগাঁ (বদলগাছী)। তবে উৎপাদন খরচ ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বিবেচনায় ঢাকা জেলা ছাড়া বাকি জেলাগুলোয় পণ্যের দামের তারতম্য রয়েছে এবং বিভিন্ন তারিখে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ২৭ রমজান পর্যন্ত মোট এক লাখ ৯২ হাজার ১৬৮ কেজি গরুর মাংস, পাঁচ হাজার ১৩১ কেজি খাসির মাংস, দুই লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ কেজি ড্রেসড ব্রয়লার, দুই লাখ ৩৮ হাজার ৮৬১ লিটার তরল দুধ ও ৪২ লাখ ৯ হাজার ৩৫৬টি ডিম বিক্রি করা হয়েছে। ২৭ রমজান পর্যন্ত সর্বমোট ২২ কোটি ৩৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকার এসব পণ্য বিক্রি করা হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অংশীজনের সহযোগিতায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পবিত্র রমজাম মাস উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত ১০ মার্চ থেকে আজ ৮ এপ্রিল পর্যন্ত রাজধানীর ৩০টি স্থানে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস এবং আটটি স্থানে মাছ বিপণন করা হয়। রাজধানীতে তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা এবং ডিম প্রথম দিকে ৯ টাকা ১৭ পয়সা হিসেবে এক ডজন ১১০ টাকা দরে বিক্রি করা শুরু হলেও পরে প্রতি ডজন ১০০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়।
উল্লেখ্য, মাছ বিক্রি কার্যক্রম ১৫ রমজানে শেষ হলেও দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি কার্যক্রম ২৮ রমজান পর্যন্ত চলে।