প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দীর সিকিরগাঁওয়ে সুপার বোর্ড কারখানায় ভয়াবহ আগুন অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ঢাকাস্থ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন জানান, গত রোববার মধ্যরাতে আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে ২২ ঘণ্টা পর, অর্থাৎ গতকাল সোমবার বেলা ১১টায়। এখনও কাজ চলছে।
তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এখানে রোবটিক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রও ব্যবহার করা হয়।
মুন্সীগঞ্জের মেঘনার তীরে টিকে গ্রুপের হোসন্দির সুপার বোর্ড কারখানায় রোববার দুপুরে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ছাড়াও দুটি জাহাজ থেকে অনবরত পানি ছিটিয়েও আগুন নেভানো যাচ্ছিল না।
জসীম উদ্দিন জানান, সন্ধ্যায় ভারী বৃষ্টি নামে; পাশাপাশি কারখানাঘেঁষা মেঘনা নদী থেকে অনবরত পানি ছোড়া হয় আগুনের কুণ্ডলীতে। এ কাজে ফায়ার সার্ভিসের ১৪৭ কর্মী অংশ নেন। আগুন নেভাতে গিয়ে সাতজন আহত হন। বাতাসের কারণে আগুনের ফুলকি পড়ে কারখানার পাশে মেঘনায় রাখা তিনটি ট্রলার পুড়ে যায়।
জসীম উদ্দিন আরও জানান, শেডের ভেতরে থাকা বোর্ড ও আগুনের তাপে লণ্ডভণ্ড শেডগুলো ডাম্পিংয়ে ব্যবহার করা হয় এস্কাভেটর।
ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তার দাবি, কারখানাটির মাঝখানের বড় শেডের ৭৫ হাজার বর্গফুটের মধ্যে আগুন সীমাবদ্ধ রাখতে পারায় আশপাশের কারখানাগুলোয় তা ছড়াতে পারেনি। এতে কোটি কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা পেয়েছে।
জসীম উদ্দিন বলেন, ‘সুপার বোর্ডের আগুনে প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ ১৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
২০১৩ সালে একই কারখানায় লাগা নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচ দিন লেগেছিল।
১১ বছরের ব্যবধানে ভয়াবহ আগুনের পুনরাবৃত্তি কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটি সোমবার সকাল থেকে কাজ শুরু করছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানান কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মাসুদুল আলম।