Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 10:00 pm

২৪৭ টন কাঁচা পণ্য নিলামে তুলছে কাস্টমস 

সাইদ সবুজ, চট্টগ্রাম: সময়মতো খালাস না করায় আমদানি করা ১০টি কনটেইনারের দুই লাখ ৪৬ হাজার ৮৮৪ কেজি (২৪৬ দশমিক ৮৮৪ টন) কাঁচা পণ্য নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা এ পণ্য সময়মতো খালাস না করায় রাজস্ব হারাছে সরকার। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনায়ও ব্যাঘাত ঘটছে। তাই রাজস্ব ক্ষতি কমাতে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিয়ম অনুযায়ী ১০ কনটেইনার কাঁচা পণ্য আগামী রোববার দুপুর ২টায় উম্মুক্ত নিলামে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, জাহাজ থেকে বন্দরে নামার ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস করতে হয় আমদানিকারককে। আমদানিকারক এ সময়ের মধ্যে পণ্য খালাস না করলে কাস্টমস থেকে নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের ১৫ দিনের মধ্যে ওইসব পণ্য খালাস না করলে নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বছরের বিভিন্ন সময় আমদানি করা এসব কাঁচা পণ্যের মধ্যে ছয় কনটেইনার আপেল, দুই কনটেইনার মাছ, এক কনটেইনার করে শুঁটকি ও আদা রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাস্টমস কমিশনার এফএম আব্দুল্লাহ শেয়ার বিজকে জানান, আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন নিয়মিত নিলাম হচ্ছে। প্রতিদিন রাত ৮টায় কর্মকর্তারা নিয়মিত বৈঠক করছেন। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন বছরে নিলামযোগ্য পণ্যগুলো অগ্রাধিকার অনুযায়ী নিলাম করা হবে।

কাস্টম নিলাম শাখা সূত্রে জানা যায়, রোববার ১০ কনটেইনার নিলামের মধ্যে ছয় কনটেইনারই আপেল। এসব আপেল চীন থেকে আমদানি করা হয়। নিলাম তালিকায় ক্যাটালগের প্রথমে থাকা তিন কনটেইনার আপেলের পরিমাণ ৭৪ হাজার ৭১৮ কেজি। এছাড়া ক্যাটালগ পাঁচে বাকি তিন কনটেইনারের সমপরিমাণ আপেল রয়েছে। এরপর ক্যাটালগের দ্বিতীয় স্থানে আছে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা ১৩ হাজার ৪৩৩ কেজি শুঁটকি। ক্যাটালগের তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা দুই কনটেইনারের মধ্যে রয়েছে মাছ। এর মধ্যে এক কনটেইনার মিয়ানমার থেকে আমদানি করা ইলিশ মাছ অন্যটিতে থাকা মাছ ও দেশের নাম জানা যায়নি। নিলাম তালিকার সর্বশেষ অবস্থানে আছে এক কনটেইনার আদা। এর পরিমাণ ২৮ হাজার ৮০০ কেজি। কোন দেশ থেকে আমদানি হয়েছে এ তথ্য জানা যায়নি। নিলামে অংশগ্রহণকারী বিডারদের জন্য  রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এসব কনটেইনার খুলে পরিদর্শনের ব্যবস্থা রেখেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া নিলামে অংশ নিতে ইচ্ছুকরা একই দিন বেলা ২টায় কাস্টম নিলাম হলে সরেজমিন উপস্থিত থেকে দর হাঁকাতে পারবে।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার সহকারী কমিশনার মো. আহসান উল্লাহ শেয়ার বিজকে বলেন, ‘নিলামযোগ্য পণ্য দ্রুত বিক্রি করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেসব পণ্য আমদানিকারকরা খালাস নেননি, সেগুলো বরাবরের মতো ধারাবাহিকভাবে নিলাম করা হবে।’