নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা পাঁচ দিন ধরে কভিডে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যু ২০০-এর ঘর পার হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমে এসেছে। গত এক দিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৮৭ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বৃহস্পতিবার ২২৬ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল অধিদপ্তর।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর পাশাপাশি কমেছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ১৪৮ জন শনাক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর। গতকাল ১২ হাজার ২৩৬ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল সংস্থাটি।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় এখন পর্যন্ত মোট ১৭ হাজার ৪৬৫ জন মারা গেলেন বলেও জানায় অধিদপ্তর। একই সঙ্গে মোট ১২ হাজার ১৪৮ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হলেন ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৯২২ জন।
গত এক দিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আট হাজার ৫৩৬ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে ৯ লাখ ১৪ হাজার ৩৪৩ জন সুস্থ হলেন। শনাক্ত-মৃত্যুর পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হারও কমেছে।
অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৫ দশমিক শূন্য আট শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪৫ হাজার ৪৫টি, আর পরীক্ষা হয়েছে ৪১ হাজার ৯৪৭টি।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭১ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৭টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৫২ লাখ ৭০ হাজার ৭৪০টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৯ লাখ ১৫ হাজার ৬২৭টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যাওয়া ১৮৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১১৩ জন আর নারী ৭৪ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেলেন ১২ হাজার ১৬৬ জন আর নারী পাঁচ হাজার ২৯৯ জন।
তাদের মধ্যে বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে অধিদপ্তর জানিয়েছে, ১৮৭ জনের মধ্যে ১০০ বছরের ঊর্ধ্বে রয়েছেন একজন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে চারজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৫৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে সাত জন আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুজন।
তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৬৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৬ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৪ জন, খুলনা বিভাগের ৩৯ জন, বরিশাল বিভাগের আটজন, সিলেট বিভাগের নয়জন, রংপুর বিভাগের ছয়জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের সাতজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ১৮৭ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৪৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২৮ জন আর বাড়িতে ১২ জন।