নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে। গত এক দিনে ৭ জন কোভিড রোগীর মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, এ নিয়ে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ২৯ হাজার ১৮১ জনে।একই সময়ে ১ হাজার ৯৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং শনাক্তের হার ১৬.৭৪ শতাংশ।এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৯৭২ জনে।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৪৯৪ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৯ হাজার ২৭৩ জন। সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৮২৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৩ হাজার ৮৪২টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৭ জন মারা গেছেন তাদের সবাই পুরুষ।
মহামারি শুরুর দুই বছর গড়িয়ে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট কমলে গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে এসেছিল। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে একপর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নেমে আসে।
গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। শনাক্তের হার ১ শতাংশের নিচে ছিল বেশ কয়েকদিন। তবে গত ২২ মের পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবার বাড়ছে। ১১ সপ্তাহ পর দৈনিক শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা গত ১২ জুন একশ ছাড়িয়ে যায়। ১৫ দিনের মাথায় সোমবার তা দুই হাজারের ঘরও ছাড়ায়।এই অবস্থাকে মহামারির ‘চতুর্থ ঢেউ’ বলা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। এজন্য মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর আবার জোর দেয়া হচ্ছে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।